তাঁর কথায়, “এখন আমাদের যেটা লড়াই চলছে সেটা হল, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে আমাদের প্রার্থী কতোটা মার্জিনে জিতবে।” সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি যে সময় সাংবাদিক বৈঠক করেন, তখন উপনির্বাচন মধ্যগগনে। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বাকি।
তার মধ্যেই ভোট দানের হার দেখে প্রদেশ সভাপতি বলেন, “তৃণমূলের যত রকমের সন্ত্রাস, প্রলোভন, প্রশাসনকে উপেক্ষা করে মানুষ সার্বিকভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য বুথে হাজির হচ্ছে। আমরা যা খবর পাচ্ছি, তাতে তৃণমূলের কর্মী, BJP-র কিছু, কিছু কর্মী আমাদেরকে ভোট দিয়েছে। ফলত সাগরদীঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয় অবশ্যম্ভাবী।”
প্রসঙ্গত, ২৯ ডিসেম্বর আচমকাই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী ও সাগরদিঘি কেন্দ্রের বিধায়ক সুব্রত সাহার। তারপরে এই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত সাহা ৯৫,১৮৯ টি ভোট পান।
নিকটবর্তী প্রার্থীদের সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধান ছিল ৫০, ২০৬ টি ভোট। সুব্রত সাহা এই কেন্দ্র থেকে মোট ভোট পেয়েছিলেন ৫০.৯৫ শতাংশ। সেক্ষেত্রে নিকটবর্তী BJP প্রার্থী মাফুজা খাতুন পেয়েছিলেন ৪৪,৯৮৩ ভোট।
জয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক দলের ধারণা, এত বড় ব্যবধান মিটিয়ে বিরোধী প্রার্থীদের জেতার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অন্যদিকে, বিরোধীদের দাবি, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে আবাস যোজনা নিয়ে সমস্যা এরকম একাধিক ইস্যুর প্রভাব পড়বে ভোট বাক্সে।
পাশাপাশি, CPIM এবং কংগ্রেস আলাদা করে প্রার্থী না দিয়ে এবারেও জোটের পথে হেঁটেছে, সেক্ষেত্রে ভোট ভাগাভাগি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্লেখ্য, সুব্রত সাহার প্রয়াণের পর উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নাম। বর্তমানে তিনি সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে রয়েছেন।
BJP প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দিলীপ সাহার নাম। ২১ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূল থেকে BJP-তে যোগ দেন। অন্যদিকে, CPIM সমর্থিত কংগ্রেস বায়রন বিশ্বাসকে প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে। শেষ হাসি হাসবে কে? সেটাই এখন দেখার।