কী অভিযোগ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের?
রবিবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পূর্বা এক্সপ্রেসে (Poorva Express) বাম নেত্রী ও তাঁর দলের কিছু মহিলা সদস্য একটি সংরক্ষিত কামরায় উঠেছিলেন। আগে থেকে টিকিট বুকিং থাকায় রিসার্ভড আসন ছিল তাঁদের। মীনাক্ষীর অভিযোগ, “ভারতীয় রেলের অবস্থা ভয়ানক! এমনকী রিসার্ভড কমপার্টমেন্টেও সুরক্ষিত নন মহিলারা। তাঁরা ট্রেনের মধ্যে টয়লেট যেতে পারছেন না। সংরক্ষিত কামরাই এখন অসংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার অনুরোধ করব। মহিলারা এভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে গিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন।”
পূর্বা এক্সপ্রেসে তাঁর কমপার্টমেন্টের ভিডিয়ো পোস্ট করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ভিডিয়োগুলিতে দেখা যাচ্ছে, মহিলাদের ওই কামরার মধ্যেই তাঁদের আসনে বসে রয়েছেন একাধিক পুরুষ যাত্রী। কমপার্টমেন্টের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহু ব্যক্তি। টয়লেটের পথ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এক আসনে বসে রয়েছেন একাধিক যাত্রী। ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় মীনাক্ষী ও তাঁর সহযাত্রীদের।
কী প্রতিক্রিয়া রেলের?
রেলওয়ে অফ ইন্ডিয়াকে ট্যাগ করে ওই টুইট করেছিলেন বাম নেত্রী। এরপর ইস্টার্ন রেলওয়ের (Eastern Railway) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন , “কোথাও কোনও ট্রেনে মহিলা যাত্রীরা সমস্যার সম্মুখীন হলে আমরা সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার চেষ্টা করব। কোনও অভিযোগ থাকলে আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে কোনও রাজনৈতিক দলের তরফে কী বলা হচ্ছে তা আমরা জানি না ।”
কিছুদিন আগে র্ঘটনার মুখে পড়েছিল দক্ষিণ পূর্ব রেলের আপ হাওড়া আমতা লোকাল। লাইনচ্যুত হয়ে যায় যাত্রীবোঝাই আপ হাওড়া আমতা লোকালের তিনটি বগি। রেল সূত্রে খবর, গাড়ির গতি কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটেনি। যাত্রীদের দাবি, কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছে। কিন্তু, সরকারি তরফে রেল কোনও যাত্রীর আহত হওয়ার ঘটনা স্বীকার করেনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের পদস্থ ইঞ্জিনিয়াররা ।