ভোটের আগে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন সমস্ত প্রকল্প থেকে কাটমানি তুলছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। তৃণমূল আমলে দুর্নীতি হয়েছে পাহাড় সমান। বিরোধীদের সেই অভিযোগেই সিলমোহর দিলেন তৃণমূলের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েতে জনসংযোগে বেরিয়ে বিধায়কের এই প্রকাশ্যে প্রধানকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার বার্তা এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা সুফল খাটু বলেন, ”রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি দুর্নীতির আধার হয়ে গিয়েছে প্রায় সময় এই দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির। বিধায়কের কথাতে সেটাই যেন স্পষ্ট হয়ে গেল যে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান থেকে সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাধারণ মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে। মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের দলের মধ্যেই এখন গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছে। প্রধানের বিরুদ্ধে এখন বিধায়ক। মানুষ তৃণমূলের ধাপ্পাবাজি ধরে ফেলেছে।” আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের যোগ্য জবাব দেবে বলে দাবি বিজেপি নেতার।
বিরোধীদের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে যুব তৃণমূলের সভাপতি ইমরান হোসেন মোল্লা। তিনি বলেন, ”কুৎসা ও অপপ্রচার করছে বিজেপি। মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক গিয়াস উদ্দিন মোল্লা উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে প্রধানকে যে হুঁশিয়ারি তিনি দিয়েছেন তা হয়তো অন্য প্রসঙ্গে বলা হয়েছে । যদি উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কুতুবউদ্দিন নস্করের বিরুদ্ধে এই কথাটি বলে থাকেন, তাহলে তিনি হয়তো ভুল বলেছেন। উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কোন প্রকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেই। শুধুমাত্র উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েত নয় ! মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কোন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান দলের কর্মীরা কোন প্রকার দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করে না।”
একইসঙ্গে তৃণমূল নেতা বিধায়কের এই মন্তব্য যে ঠিক নয় তাও স্বীকার করেন। তিনি বলেন,” সাধারণ মানুষকে পাশে নিয়ে কাজ করে তৃণমূল কংগ্রেস। যদি বিধায়ক এই কথাটি বলে থাকে প্রধানের বিরুদ্ধে তাহলে তিনি ভুল বলেছেন। প্রকাশ্য মঞ্চে বিধায়কের এইরকম কথা বলা উচিত হয়নি।” তবে এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। যা বিরোধীদের হাতিয়ার হয়ে ওঠবে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।