সেই সময়েই এই খাল সংস্কারের জন্য টাকি পুরসভাকে ৫৭ লাখ টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়। সেই মতই টাকি পুরসভার উন্নয়নের তহবিল থেকে ৪ কিলোমিটার ইছামতি নদীর খাল সংস্কারের কাজ হচ্ছে। উল্লেখ্য, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের টাকি পুরসভা ও হাসনাবাদ ব্লকের সীমান্তে ভারত বাংলাদেশের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতি নদী।
তার মধ্যে ৪ কিলোমিটার নদীর শাখা খালের একটা অংশ হাসনাবাদ ও টাকি পুরসভার ৪, ৫, ৭, ১০, ১১, ১২ এই ওয়ার্ডগুলোতে অবস্থিত। দীর্ঘদিন খাল সংস্কার না হওয়ার ফলে বর্ষাকাল আসলেই জলবন্দী হয়ে প্রায় ৩০,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। পাশাপাশি ৭০০ বিঘা জমিতে বৃষ্টির জলের পাশাপাশি নদীর নোনা জল ঢুকে বিভিন্ন ফসলও ক্ষতিগ্রস্ত হত।
২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবন সফরে এসে টাকিতে পিএইচপি বাংলোতে রাত্রিযাপন করেন। সেই সময় টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী বিশেষ নজর দিয়েছিলেন ইছামতি খাল সংস্কারে। তাঁরা আবেদন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছিলেন।
আর সেই কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী ৫৭ লাখ টাকা ইছামতি নদীর খাল সংস্কারে বরাদ্দ করেছিলেন টাকি পুরসভাকে। সেই কাজ বর্ষার আগেই শুরু হল। টাকি পুরসভা ও পুর নাগরিকদের নিয়ে খাল সংস্কারে হাত লাগালেন শতাধিক পুর নাগরিক।
টাকি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোরঞ্জন পাত্র বলেন, “এর ফলে একদিকে টাকির বেশিরভাগ অংশের মানুষ আর জলবন্দি হবেন না, পাশাপাশি জমির চাষ ভালো করে করতে পারবেন।” অন্যদিকে বর্ষার জল সংরক্ষণ করে চাষের সুবিধা হবে বলে এমনটাই জানালেন কাউন্সিলর। বর্ষার আগেই এই খাল সংস্কারের কাজ পুরোটাই শেষ হবে।
ইতিমধ্যে চার কিলোমিটার এই ইছামতি নদীর খালের সংস্কারের ৯০ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ কাজ বর্ষাকাল আসার আগেই শেষ হবে। টাকি পুরসভা ও হাসনাবাদের একাংশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন।
অন্যদিকে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হত, সেই দাবিও তুলে আসছিলেন। দীর্ঘদিন পরে শুরু হল সেই কাজ। তাদের কথা মতো এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাল সংস্কারের টাকা বরাদ্দ করে দ্রুত এই কাজ করার শেষ করার কথা বলেছেন।