সূত্রের খবর মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন রাজু। বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ির ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাড়োয়া থানার পুলিশ। সেখান থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনা আত্মহত্যা না ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন হাড়োয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীয়ের সঙ্গে সমস্যা চলছিল রাজুর।
মৃত যুবকের শ্বশুর মধুসূদন অধিকারী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে তাঁর মেয়ের সাংসারিক অশান্তি চলছিল, কিন্তু চেষ্টা করেও কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সমস্যা ছিল। আমার সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করলেও কোনও সমাধান হয়নি। শেষে যে এমন ঘটনা ঘটবে, আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখানে থাকি না, আমরা বিরাটিতে থাকতাম। এই ঘটনার খবর পেয়ে আমরা এখানে চলে এসেছি। ঠিক কী কারণে সে গলয়া দড়ি দিল আমি সেটা বলতে পারব না।”
যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা বৈবাহিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “কী কারণে এই ঘটনা ঘটল জানি না। তবে শুনেছিলাম স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা চলছিল। এই যুবক কাল রাতে এখানে এসেছিল বলেই শুনেছি। সকালে ঝুলন্ত অবস্থা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে”