আরতির জন্য বাজেকদমতলা ঘাটে একটি অস্থায়ী মন্দিরও তৈরি হয়েছে। সেটিরও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গঙ্গাদেবীর মূর্তিরও উন্মোচন হবে। দর্শক আকর্ষণের জন্য খুব তাড়াতাড়ি সেখানে লেজ়ার শোয়ের আয়োজন করা হবে।
গত বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বারাণসীতে গঙ্গা আরতি দেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে অংশগ্রহণ করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ফিরে এসেই ফিরহাদকে কলকাতায় গঙ্গা আরতি শুরুর আয়োজন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। কাজ শুরু করেছিল কলকাতা পুরসভা।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রাক্কালে কলকাতায় গঙ্গা আরতি শুরু করার পরিকল্পনা করা হলেও প্রস্তুতি চূড়ান্ত না-হওয়ায়, শেষমেশ দিনক্ষণ পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আজ থেকেই কলকাতার গঙ্গার ঘাটে সন্ধ্যা আরতি শুরু হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন ফিরহাদ এবং মেয়র পারিষদরা।
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গঙ্গা আরতির মহড়া চলেছে বাজেকদমতলা ঘাটে। যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত দেখেই বৃহস্পতিবার গঙ্গা আরতি সূচনার দিন ঠিক করা হয়েছে। বুধবার মেয়র, নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিং এবং উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার-সহ পুরসভার আধিকারিকরা বাজেকদমতলা ঘাট পরিদর্শনে যান। কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আলাদা ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
গঙ্গা আরতির জন্য বাজেকদমতলা ঘাটকে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে কলকাতা পুরসভা। বসেছে নতুন বাতিস্তম্ভ। পুরো এলাকা সাফাইয়ের কাজ চলছে। গঙ্গা থেকে আবর্জনা তোলা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রে খবর, আরতির কাজ পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টকে দায়িত্ব দিচ্ছে পুরসভা, যার চেয়ারম্যান তারক সিং। তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে রোজ বিকেলে গঙ্গা আরতি হবে। শুধু প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে সন্ধ্যা আরতি বন্ধ রাখা হবে।