বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে BJP-র একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সাগরদিঘি কেন্দ্রে BJP-র জেতার সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকলেও লকেটের মতে, BJP-কে আটকাতে প্রচ্ছন্নভাবে সাহায্য করছে রাজ্যের শাসক দল। যাতে এই ফলাফলের প্রভাব আগামী দিনে মানুষের মধ্যে পড়ে। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই কৌশল নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
লকেট জানান, BJP-কে আটকাতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলের আঁতাত হচ্ছে। তবে এই ত্রি শক্তির বিরুদ্ধে BJP একাই লড়বে বলে দাবি তাঁর। বৃহষ্পতিবার দুর্গাপুরের গোপালমাঠে দলের কার্য্যকরণী বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
সাগরদিঘির নির্বাচনী ফলের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে এই আসনে তৃণমূল প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিল, দ্বিতীয় স্থানে ছিল BJP। এবারে বাম-কংগ্রেস আঁতাতকে জায়গা করে দিতে পরিকল্পিত ভাবে তাদের ছেড়ে দিল এই আসন। এটা তৃণমূলের আগাম পরিকল্পনা ছিল। সাগর দিঘির ফল দেখে হতবাক BJP শিবির।
এবার BJP প্রার্থী দিলীপ সাহা ২৫ হাজার ৭৯৩টি ভোট পেয়েছেন। ফলপ্রকাশ শেষে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা জানিয়েছেন, “এই ফলাফল আশা করিনি। কেন এমন হলো তা দলীয় স্তরে বিশ্লেষণ করে দেখা হবে।”
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের জয়লাভের পর হুংকার ছেড়েছেন অধীর চৌধুরী। এই জয় প্রসঙ্গে বাম শীর্ষ নেতৃত্ব সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব ও কর্মীদের কৃতিত্ব দিয়েছেন অধীর। সাধারনত এ রাজ্যের রাজনীতিতে যে দল শাসন ক্ষমতায় থাকে, যে কোনও উপনির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের জয় এখনও পর্যন্ত দেখে এসেছে জনসাধারণ।
সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের জয় ব্যাতিক্রমী ঘটনা বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। আসন্ন পঞ্চায়েত ও আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে এই ফলাফল কোনও প্রভাব ফেলতে পারে কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সাগরদিঘি।