জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল রায়গঞ্জ (Raiganj) শহরের ২৭ নং ওয়ার্ডের দেবীনগরের কান্ত নগর এলাকা। কুলিক নদীর বাঁধ সংলগ্ন ওই এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। সেখানে এক নাবালককে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাকে চোর ভাবেন এলাকার কিছু মানুষজন। এরপর তাড়া করতে করতে শিশুটিকে ধরে ফেলে। কোনও কিছু না শুনেই শুরু হয় বেদম প্রহার।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে কয়েকজন যুবক তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে মারধর করে। বিবস্ত্রও করে দেওয়া হয়। শরীর দিয়ে অনবরত রক্ত ঝরতে থাকে। যদিও স্থানীয়দের একাংশ বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ (Raiganj Police Station) ঘটনাস্থলে যায়। তারা বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Raiganj Medical College and Hospital) চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর প্রসেনজিৎ সরকার। তিনি তীব্র নিন্দা করেছেন। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “এটি একটি অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। ঘৃণ্য বললেও কম বলা হয়। একটি শিশুকে ওই ভাবে কেউ কি করে মারতে পারে, সেটাই আমি ভেবে পাচ্ছি না। শুনেছি বাচ্চাটি এখন হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজ নেব আমি”।
পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা দেখতে পাই কিছু ছেলে একটি বাচ্চাকে ধরে খুব মারছে আর ভিডিও করছে। সেটা দেখেই আমরা কয়েকজন ছুটে যাই আর বাচ্চাটিকে ওই ছেলেগুলির হাত থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করি। কিন্তু ওই ছেলেগুলি নাছোড়বান্দা মনোভাব নিয়ে ছিল।
ওরা বলে বাচ্চাটি চুরি করেছে। কিন্তু চুরির স্বপক্ষে কোনও প্রমান ওই ছেলেগুলি দেখাতে পারেনি। বাধ্য হয়ে আমরা এরপর পুলিশে খবর দিই। সেই শুনে ছেলেগুলি চলে যায় সেখান থেকে”। উল্লেখ্য, বাড়িতে হোক বা বাইরে, শিশুদের শাসন করার ক্ষেত্রে মারধর করতে একেবারেই বারন করেন শিশু বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞের মতে, বাচ্চাদের মারধর করলে তারা খুব ভীরু হয়ে যায়।