BJP In Bengal : সাংসদ-বিধায়করা সংগঠনে সক্রিয় ? প্রশ্ন বিজেপিতে – central observer sunil bansal and mangal pandey wants to know bengal bjp cause of disorder


এই সময়: ১৬ জন সাংসদ এবং ৭০ জন বিধায়ক। তবুও সংগঠনের এমন ছন্নছাড়া দশা কেন? বঙ্গ বিজেপির জেলাস্তরের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে এই রহস্যেরই কিনারা করতে চান সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডেরা। সম্প্রতি রাজ্যের পাঁচটি সাংগঠনিক জোনে বৈঠক করেছেন তিন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে এবং আশা লাকড়া।

SSC Scam In West Bengal : পার্থ-কৈলাস পরিচিত, তবে বিভাস রাজনীতি ছাড়তে চান
সূত্রের খবর, তিনজনই জেলার সাংগঠনিক নেতাদের কাছে সাংসদ, বিধায়কদের সক্রিয়তা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। একই প্রশ্ন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা করেছেন সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীর মতো রাজ্য বিজেপির শীর্ষ সাংগঠনিক নেতাদের কাছেও। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সংগঠনের হাল নিয়ে বারবার উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের।

Bengal BJP : ‘অসহায়’ নেতারা, পদ্ম কর্মীদের প্রশ্ন, অভয় দেবেন কে
অমিত শাহ, জগৎপ্রকাশ নাড্ডারাও একাধিকবার কলকাতায় এসে সংগঠন মজবুত করার নানা দাওয়াই দিয়ে গিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদের। কিন্তু তারপরও এ রাজ্যে বিজেপির বুথস্তরের সংগঠনের হাল যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে বলে অভিযোগ। ২০১৯-এর পর বাংলার বিজেপি সাংসদরা হামেশা দিল্লি গিয়ে এ রাজ্যের সাংগঠনিক নেতাদের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকতেন।

Abhishek Banerjee : পিছোল সভার তারিখ, এপ্রিলে আলিপুরদুয়ার যাবেন অভিষেক
সাংসদই একই সুরে রাজ্য বিজেপির পদাধিকারীদের দায়ী করতেন সংগঠনের দুর্দশার জন্য। এ বার সেই সাংসদরাই কাঠগড়ায়। সঙ্গে দোসর বিধায়করা। দলের অন্দরে সুনীল-মঙ্গলদের প্রশ্ন, গত চার বছরে বাংলার বিজেপি সাংসদরা সংগঠন মজবুত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন। সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় তাঁরাই বা কতটা অংশগ্রহণ করেছেন? একই আতস কাঁচের তলায় ফেলা হয়েছে দলীয় বিধায়কদেরও।

Sagardighi By Election Latest News : আজ সাগরদিঘির ফলের আগে দ্বন্দ্ব বিভেদ-রাজনীতির
বিধানসভায় হাজিরা দেওয়া এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে ফিতে কাটা ছাড়া তাঁরাই বা সাংগঠনিক কাজে কতটা অংশ নেন সেটাও জোনের বৈঠকগুলিতে জানতে চেয়েছেন বনসলরা। উত্তরবঙ্গে এক সাংগঠনিক বিজেপি নেতার কথায়, ‘সাংসদরা অধিংকাংশ সময়ে দিল্লিতে কাটান। মাঝেমধ্যে রাজ্যে ফিরে সংগঠন নিয়ে হা-হুতাশ করেন। এইভাবে চলতে পারে না। দলটা সবার।

Dilip Ghosh : ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জের, ফের দিলীপের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
লোকসভা ভোটের আর একবছরও দেরি নেই। অন্তত এ বার দিল্লির পাত্তারি গুটিয়ে সাংসদদের নিজের এলাকায় ঘাঁটি গাড়া উচিত।’ বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জানি না কে কী বলছেন। তবে আমি নিজের লোকসভা কেন্দ্র বিষ্ণুপুরেই বেশিরভাগ সময় থাকি। এলাকায় ঘুরি। মানুষের সমস্যা শুনি এবং সাধ্যমতো সমাধানের চেষ্টা করি।’

Sagardighi By election : সাগরদিঘিতে তৃণমূলের ভরাডুবির পিছনে অন্তর্ঘাত? কাটাছেঁড়ায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি নিজের লোকসভা কেন্দ্রে সব থেকে বেশি সময় দিই। একদম বুথস্তর পর্যন্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে মেলানমেশা করি। আজ থেকে নয়, সাংসদ হওয়ার প্রথম দিন থেকেই এই কাজটা আমি করে আসছি।’ তবে উল্টো সুরও আছে। উত্তরবঙ্গের এক সাংসদের কথায়, ‘আমি নিজের লোকসভা কেন্দ্রেই ব্রাত্য।

BJP West Bengal : ‘তৃণমূলের খাকি মোর্চা’, দিনহাটা দাঁড়িয়ে পুলিশকে নিশানা সুকান্তর
সাংগঠনিক কোনও বিষয়ে আমাকে নাক গলাতে দেওয়া হয় না। এমনকী, জেলা এবং মণ্ডলস্তরের কমিটি তৈরির সময়েও আমার কোনও পরামর্শে কর্ণপাত করেননি জেলার নেতারা। ফলে আমিও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি। এখন সুনীল বনসলরা সাংসদের উপর দোষ চাপাতেই পারেন। কিন্তু তাতে সত্যি চাপা পড়বে না।’

Sukanta Majumdar: ‘বাংলার পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে’, দিনহাটায় হুংকার সুকান্ত
রাঢ়বঙ্গের এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিতে থাকার সময় সাংগঠনিক নেতাদের অসহযোগিতা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন। তিনি কার্যত বাধ্য হয়ে বিজেপি ছেড়েছেন। আমাদের দলের সংগঠনের মাথায় এমন অনেক নেতা বসে আছেন যাঁরা চান, সাংসদ-বিধায়করা সবাই বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে চলে যাক। তাতে তাঁদের মৌরসিপাট্টা বজায় থাকে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *