এখানেই শেষ নয়, বিরোধীদের কাছেও সমর্থনের আবেদন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”পোস্ত ছাড়া আমাদের চলে না। বিরোধী বন্ধুরা আপনারাও তো খান। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে কেন্দ্রকে বলি। পোস্ত চাষ মানেই ড্রাগস তৈরি করা নয়। অন্য রাজ্যের থেকে কেন কিনব? সব রাজ্য পোস্ত চাষের অনুমতি পেলে আমরা কেন পাব না? আমরা সরকারি ফার্মে চাষ করব।”
প্রসঙ্গত, পোস্ত মেলে আফিম গাছ থেকে। আফিম থেকে তৈরি হয় নেশার জিনিস। তাই পোস্ত চাষে দরকার বিশেষ। সম্প্রতি রাজ্যে একাধিক জায়গায় বেআইনি পোস্ত চাষের অভিযোগ মিলেছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই অভিযান চালিয়ে তা ধ্বংস করে দিয়েছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, এক বিঘা জমিতে কমপক্ষে ১৫০ কেজি পোস্ত উৎপাদন হয়। খোলা বাজারে বর্তমানে এক কেজি পোস্ত বিকোচ্ছে ৮০০ টাকায়। বৈধ ভাবে উৎপাদিত এক কেজি পোস্তর দাম ওঠে ১,৫০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে।
অন্যদিকে, পোস্ত গাছ থেকে মেলে একধরনের আঠা। ওই আঠা থেকে মূলত আফিম, ব্রাউন সুগার, হেরোইনের মতো নেশার জিনিস তৈরি হয়। বাজারে ওই আঠার প্ৰতি কেজির দাম প্রায় এক লাখ কুড়ি হাজার টাকা। এক বিঘা জমির পোস্ত থেকে দুই বা তিন কেজি আঠা মেলে ফলে পোস্ত বাবদ এই লাভ অনুমেয়। তাই নেশার দ্রব্য উৎপাদন রুখতে পোস্ত চাষে এত কড়া নিষেধাজ্ঞা।