Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি, তৃণমূল নেতার মেয়ে-জামাই সহ চাকরি গেল এক পরিবারের ৩ জনের – malda tmc leader two daughter and son in law name in that group c scam list stir controversy


Group C Scam Case: রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়। এবার মালদাতে সামনে দুর্নীতির তথ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ সি নিয়োগে বেনিয়ম সামনে আসতেই চাকরি গেল তৃণমূল নেতার দুই মেয়ে এবং জামাইয়ের। সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য রাজ্য রাজনীতিতে।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায়ের ভিত্তিতে গ্রুপ সি পদে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি গিয়েছে। কোর্টের রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে, যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তারা আর স্কুলে যেতে পারবে না। তাদের বেতনও বন্ধ হবে।

আদালতের নির্দেশের পরেই তড়িঘড়ি সেই তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। তালিকা সামনে আসতেই শোরগোল। দাবি অনুসারে দেখা যায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার তৃণমূল নেতাদের পরিবারের লোকের নাম রয়েছে ওই তালিকায়।

SSC Scam: প্রাথমিকের পর Grp-C চাকরি বাতিল তালিকাতে নাম তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরের

স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওই তালিকায় এবার সামনে এল মালদার তৃণমূল নেতার গোটা পরিবারের। এক পরিবারে চাকরি গেল তিন জনের। জানা গিয়েছে, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে মাম্পি দাস,শম্পা দাস এবং জামাই বিপ্লব দাসের নাম রয়েছে গ্রুপ সি ভুয়ো নিয়োগ তালিকায়।

কমিশনের প্রকাশিত তালিকায় তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের পরিবারের নাম দেখে চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়। মাম্পি দাস হরিশ্চন্দ্রপুর হাই স্কুল, শম্পা দাস হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয় এবং বিপ্লব দাস কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলে ক্লার্ক পদে কর্মরত ছিলেন। ৮৪২ জনের যে তালিকা প্রকাশের পর তৃণমূল নেতার আত্মীয়দের চাকরি যাওয়ার খবরে খুশি এলাকাবাসী।

SSC Recruitment Scam : গ্রুপ সি পদে চাকরি খোয়ালেন হেমতাবাদের যুব তৃণমূল নেতা, জোর বিতর্ক

স্থানীয়দের দাবি, তাদের দাবি শুধুমাত্র টাকার জোরে এবং তৃণমূল করার কারণে চাকরি পেয়েছিল ওই পরিবারের তিনজন। অথচ এলাকার প্রকৃত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী যারা তারা ঘুষ না দিতে পারায় চাকরি পায়নি। স্থানীয় এক মহিলা তৃণমূল কর্মীর বিস্ফোরক দাবি, দুই মেয়ে ও এক জামাইয়ের চাকরির জন্য খরচ হয়েছিল ২৪ লাখ টাকা। সেই টাকা কাকে দিয়েছিল বা কাদের সুপারিশে হয়েছিল এই নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। যদিও সমগ্র ঘটনায় কোন মন্তব্য করতে চায়নি প্রকাশ দাস বা তাঁর পরিবারের লোকেরা।

উত্তর রামপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা গুল মহম্মদের দাবি, শুধু মেয়ে জামাই তৃণমূল নেতা তাঁর ভাগ্নেরও চাকরি করে দিয়েছিলেন। তার চাকরিও আগেই বাতিল হয়েছে।

কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজা চৌধুরী বলেন, ”ডিআই অফিস থেকে এই ব্যাপারে এখনো কোনও তথ্য আসেনি। মিডিয়া মারফত ঘটনাটি শুনেছি। তাই এই নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।”

Group C Recruitment Scam: ‘মেয়ে চিটিংবাজ নয়’, গ্রুপ সি দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় হাহাকার প্রাক্তন TMC কাউন্সিলরের বাবার

উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেন, ”শিক্ষক থেকে শুরু করা অশিক্ষক কর্মী পুরো নিয়োগটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। আজ তৃণমূলের যে নেতারা হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে বুঝতে হবে তারা কাটমানির ভাগ পায়নি। চাকরির প্রার্থীরা ৭০০ দিন ধরে আন্দোলন করছে। আর অযোগ্যরা টাকার বিনিময়ে চাকরি করছে। মানুষ এদের ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দেবে।”

মালদা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ”বিচারব্যবস্থাকে আমরা সম্মান করি। কেউ যদি বেআইনি ভাবে বেনিয়ম করে কিছু পায় দল সেটার দায়িত্ব নেবে না। কোর্ট যে ভাবে রায় দিচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো সেই ভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিরোধীদের জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।”

WB Recruitment Scam: Grp C চাকরি বাতিলের তালিকায় জেলার একাধিক নামী স্কুলের শিক্ষাকর্মী, তাজ্জব শিক্ষামহল

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই মুহূর্তে তোলপাড় সারা রাজ্য। একের পর এক শিক্ষক থেকে শুরু করে অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি যাচ্ছে কোর্টের রায়ে। দেখা যাচ্ছে ফাঁকা ওএমআর শিট দিয়ে অনেকে পেয়ে গিয়েছেন চাকরি। রাজ্যের প্রত্যেকটি প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে এই দুর্নীতির জাল। মালদাও তার ব্যতিক্রম নয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *