সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তোলেন, ”নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদের নাম উঠে আসছে তাদের মধ্যে শাসক দলের নেতাদেরই ডাকা হচ্ছে। কিন্তু বাকিদের ডাকা হবে কবে?” এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ও নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী টেনে আনেন প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে পাওয়া বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামের উইল প্রসঙ্গ। নারদায় শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল বিজেপি। কিন্তু এখন গেরুয়া শিবিরে যাওয়ায় সব ওয়াশিং মেশিন। বলে কটাক্ষ করেন শশী পাঁজা।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ”সারদা নারদা মামলায় এখনও ট্রায়াল শুরু হয়নি। SSC তালিকা তৃণমূলের কিছু যোগ সূত্র রয়েছে। সিপিএমের বাড়ির লোক রয়েছে। বিজেপির বাড়ির লোক রয়েছে। কুণাল ঘোষ নিজে ৫৫ জনের তালিকা দেখিয়েছেন। যাতে কাঁথি, পটাশপুর, খেজুরি সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকার চাকরিপ্রার্থীরা সেই তালিকায় আছেন, যাদের নাম শুভেন্দু সুপারিশ করেছিলেন। সেই তালিকায় রয়েছে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সঞ্জীব সুকুলের নাম। তাহলে তাঁকে কেন ডাকা হবে না?”
Kunal Ghosh News: ‘চাকরি-ছুট শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ’, কুণালকে মানহানির নোটিস
এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, ”তৃণমূলের সঙ্গে ১৫-২০ জনের যোগ সূত্র পেয়ে তদন্তে নেমেছে। কিন্তু সিপিএমের যোগ নিয়ে কেন তদন্ত হবে না?” বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শশী পাঁজাও। তিনি বলেন, ”Group c তালিকায় তো বিজেপি নেতা দুলাল বরের মেয়ে আছে। কালনা হিঙ্গগঞ্জের সিপিএম নেতার ছেলে আছে। কেন এদের নিয়ে তদন্ত হবে না?”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর নিয়োগ দুর্নীতির কাণ্ডে অভিযুক্ত আরও দুই নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস।
