তাঁর ছবি সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। হইচই পড়ে গিয়েছিল নেটপাড়ায়। কিন্তু, কোনওভাবেই দমে যেতে নারাজ প্রণব। তিনি দাবি করেছেন, কাউকে চাকরির জন্য কোনও টাকা দেননি তিনি। একইসঙ্গে ক্লার্কের কাজে অত্যন্ত চাপ এবং মানসিকভাবে তিনি অন্যান্য সরকারি চাকরির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন, দাবি করেছেন প্রণব।
একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে আমার চাকরি গিয়েছে। কিন্তু, আমার ট্যালেন্ট এবং বুদ্ধি যায়নি।” স্বাভাবিকভাবেই তিনি নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন, তা স্পষ্ট। সোশাল মিডিয়ায় যাবতীয় ট্রল সরিয়ে প্রণবের স্বপ্ন নয়া পথে পা বাড়ানো।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বাংলার মানুষের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন। দোলের দিন তিনি বোলপুরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে ‘বাংলার বাঘ’ বলে সম্বোধন করেছিলেন অনেকেই। উঠেছিল স্লোগানও। অনেকে আবার তাঁর ছবি সাঁটিয়েছেন বাইকে। বিচারপতির প্রতি সম্মান জানিয়েই তাঁদের এই পদক্ষেপ।
এবার সেই বিচারপতির রায়ের প্রসঙ্গ টেনেই উল্লেখযোগ্য মন্তব্য প্রণবের। তিনি আরও বলেন, “ওই টাকায় সংসার চালানো সম্ভবও ছিল না। গ্রুপ সি কর্মীদের উপর অত্যন্ত কাজের চাপ থাকে। এদিকে মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা তাঁদের বেতন দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে এই টাকায় সংসার চালানো অত্যন্ত কঠিন হত।”
একইসঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় তাঁর পরিবারকে টেনে ট্রল করা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রণব। তিনি বলেন, “ওই তালিকাতে নাম আমার এসেছে। যা বলার আমাকে বলুন। বিয়ের যে ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেখানে আমার পরিবারের সদস্যরাও রয়েছে। তাঁদের তো কোনও দোষ নেই! কেন তাঁদের এর মধ্যে টানা হচ্ছে!”
Hooghly News: ‘চাকরি পেতে টাকা কেন একটা মিষ্টির প্যাকেট দিইনি’, দাবি টুম্পার
পাশাপাশি বিয়ের পর চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে প্রণব রায় বলেন, “আমাদের দশ বছরের প্রেম। তারপর ওকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে এসেছি। সেই সময় আমার সরকারি চাকরি ছিল না। আমার স্ত্রী ট্রল দেখে হাসছে। ও আমাকে ছেড়ে যাবে না।”