গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য জমি দিতে প্রস্তুত রয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু সরকারের উদাসীন মনোভাব থাকায় এখনও পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে না। সাংসদ তহবিলের তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের পর অবহেলায় পড়ে রয়েছে সেই ব্রিজ। রতুয়া-১ ব্লকের ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠুটিয়া ঘাটের উপর প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল ব্রিজ। বিশেষ করে ভাদো এবং দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের যোগাযোগের জন্য ব্রিজ তৈরি করার উদ্দেশ্য।
তবে এই ব্রিজ তৈরি হলে শুধু এই দুই এলাকার মানুষ নয় ভালুকা, মহানন্দাটোলা, বিলাইমারি এমনকি পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের মানুষ সামসি, চাচল, গাজোল যাতায়াত করতে পারতেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে। কারণ ওই সমস্ত এলাকার মানুষকে রতুয়া হয়ে ঘুরপথে ভাদো, সামসি, চাচল যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়দের দাবি, তৎকালীন সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি এই ব্রিজ তৈরি করেছিলেন। ব্রিজের দু’পাশের জমি জটের কারণে আজ পর্যন্ত চালু হল না ব্রিজ।
জমি জট সমস্যা কবে কাটবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে এলাকার মানুষ। রতুয়া এক ব্লকের ভাদো এবং দেবীপুর পঞ্চায়েতের মধ্যে বইছে মহানন্দার একটি শাখা নদী। এই নদী পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় চার থেকে পাঁচটি পঞ্চায়েতের অন্তত ৫০টি গ্রামের মানুষকে প্রতিদিনই নদী পারাপার হতে হয় হাজার এর বেশি মানুষের। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আমাদের ব্রিজ চালু করার বিষয় সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই আমরা ভোট দেবো না হলে ভোট বয়কট করব”।
আর এই ব্রিজ চালু করার বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদা জেলা কংগ্রেসের (Congress) কার্যকরী সভাপতি কালী সাধন রায় জানান, “তৃণমূল (Trinamool Congress) কাজের জন্য নয়। এরা শুধু লুটের জন্য। আর জমি অধিগ্রহণে লুটের গন্ধ নেই তাই জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে না। এলাকার বিধায়ক সমর মুখার্জী শুধু নিজের সম্পত্তি বাড়িয়েছেন”।
এই বিষয়ে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ব্রিজটি দীর্ঘদিন আগে তৈরি হয়েছে। ব্রিজটি দ্রুত চালু করার জন্য মানুষের দাবি রয়েছে। এই বিষয়ে এলাকার বিধায়কের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। প্রয়োজনে এলাকায় লোক পাঠিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা হবে”।