ED সূত্রে খবর, কুন্তল এবং তাঁর স্ত্রীর একাধিক যৌথ সম্পত্তি রয়েছে। জয়শ্রীর অ্যাকাউন্ট থেকেও কিছু টাকা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁর আয়ের উৎস কী? এই সম্পর্কিত প্রশ্ন তাঁকে করা হয়ে পারে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে শুধু হেভিওয়েটরা নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের গতিবিধির উপরেও নজর রাখছেন তদন্তকারীরা। কিছুদিন আগেই মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং সন্তানকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল ED। এবার কুন্তল ঘোষের স্ত্রীকে তলব।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে প্রতিদিন পরতে পরতে উঠে আসছে রহস্য। কুন্তলের জীবনযাত্রা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছিল। বাইপাসের ধারে একটি ফ্ল্যাটে প্রায়ই কুন্তলের উদ্যোগে বিশেষ আসর বসত বলে সূত্রের খবর। সেখানে উপস্থিত থাকতেন টলিপাড়ার একাধিক মুখ সূত্রের খবর এমনটাই।
উঠতি মডেল এবং অভিনেত্রীদের সঙ্গে বিস্তর যোগাযোগ ছিল কুন্তলের, জানাচ্ছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল। সেই পার্টিতে কি মাদকের কোনও আসর বসত? সেই সম্পর্কিত তথ্যও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। চাকরি বিক্রির টাকা কোথায় যেত? সেই সম্পর্কিত প্রশ্ন কুন্তল ঘোষের স্ত্রীকে করা হতে পারে, জানা যাচ্ছে এমনটাই। জানা গিয়েছে, তাঁকে ব্যাঙ্কের লেনদেন সহ বেশ কিছু নথিও সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অতীতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন জয়শ্রী। তিনি দাবি করেছিলেন, কুন্তলের গ্রেফতারির আগে যে ফ্ল্যাটে ED তল্লাশি চালায় সেখানে একসময় থাকতেন তাপস মণ্ডল। লকডাউনের সময় সেই ফ্ল্যাট থেকে কাজ করতেন তাপস, দাবি করেছিলেন জয়শ্রী।
এই বিষয়ে ED-কে তদন্ত করার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রে জয়শ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, মঙ্গলবারই কুন্তল ঘোষকে দল থেকে বরখাস্ত করেছে তৃণমূল। হুগলির এই যুব তৃণমূল নেতার নাম নিয়োগ দুর্নীতি জড়ানোর পর বিস্তর অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল দলকে। গতকাল তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।