Group C Recruitment Scam : ‘ও ইঞ্জিনিয়ার, ফার্স্ট ক্লাস…’, নিয়োগ দুর্নীতিতে ছেলের চাকরি যাওয়ায় ফুঁসে উঠলেন INTTCU নেতা – group c recruitment scam paschim bardhaman inttuc deputy secretary says his son is meritorious did not pay money for job


এবার SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারালেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আইএনটিটিইউসির সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণব মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনায় দুর্গাপুরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুর প্রোজেক্টস্ টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে প্রায় পাঁচ বছর চাকরি করেছেন তিনি। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আর এতেই নাম ছিল অর্ণবের।

Group C Recruitment Scam: ‘মেয়ে চিটিংবাজ নয়’, গ্রুপ সি দুর্নীতিতে নাম জড়ানোয় হাহাকার প্রাক্তন TMC কাউন্সিলরের বাবার
যদিও অর্ণবের বাবা সমীর মুখোপাধ্যায় তথা আইএনটিটিইউসির সহ সভাপতির দাবি, তিনি চাননি ছেলে গ্রুপ সির চাকরি করুক। বেঙ্গালুরুর একটি OT সংস্থায় চাকরি করতেন তাঁর ছেলে। বেতনও ছিল মোটা। সেই চাকরি ছেড়ে ছেলে অন্য কোনও কাজে যোগদান করুক, তা চাননি বলেই দাবি করেন সমীর।

ঠিক কী বলেছেন সমীর মুখোপাধ্যায়?

তিনি বলেন, “আমার ছেলে বিটেক ইঞ্জিনিয়ার। ইলেকট্রনিক্স কমিউনিকেশন। ও ব্যাঙ্গালুরুতে কাজ করত। আমি ছেলেকে নিষেধ করেছিলাম ১৫-২০ হাজার টাকা বেতনে গ্রুপ সির জন্য আবেদন না করতে। ও শোনেনি। বলেছিল দুর্গাপুরে তোমাদের কাছে থাকতে চাই। এরপর লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল ও। সেখানে পাশ করেছে। এরপর মৌখিক পরীক্ষা-কম্পিউটার পরীক্ষা হয়। ও ভালোভাবে পাশ করেছিল।”

Group C Recruitment Scam : ‘১০ বছরের প্রেম, বউ ছেড়ে যাবে না’, আত্মবিশ্বাসী ফুলশয্যার আগে চাকরি হারানো প্রণব
তাঁর সংযোজন, “এভাবে চাকরি যাওয়া সামাজিক বদনাম। ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ফার্স্টক্লাস। কেন করবে ও দুর্নীতি? আমার মনে হয় ওই OMR শিট সঠিক নয়। আমার ছেলে বলেছিল ও সঠিকগুলো দাগ দিয়েছিল (উত্তর দিয়েছিল)। কিন্তু, ওর যে শিট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে সবগুলোই দাগ দেওয়া। এক্ষেত্রে নেগেটিভ মার্কিং রয়েছে। এটা কী ভাবে সম্ভব! আমরা আইনি লড়াই লড়ব। আমি চাইনি ও এই চাকরি করুক।”

Group C Recruitment: ৭ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে স্কুলে চাকরি? দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই বেপাত্তা তৃণমূল কাউন্সিলর
ঠিক কী বলেছেন অর্ণব মুখোপাধ্যায়?
তিনি বলেন, “আমি টাকা দিয়ে চাকরি পাইনি। SSC যে OMR শিটের তালিকা প্রকাশ করেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে আমি ৬০টি প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছি। কিন্তু, তা সঠিক নয়। আমি বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। এক বছরের একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছিল। আমি পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছি।”

এদিকে দুর্গাপুর প্রোজেক্টস্ টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জ্যোতি মিশ্র বলেন, “২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনি এই স্কুলে যোগদান করেছিলেন। ওর ব্যবহার এবং কাজ অত্যন্ত ভালো। তবে সম্প্রতি শরীর খারাপ বলে তিনি স্কুলে আসছেন না।” চাকরি যাওয়ার বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কোনও তথ্য আসেনি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *