Potato Price : প্রতিকূল আবহাওয়ায় কমেছে আলুর ফলন, চিন্তায় ঘুম উড়েছে হুগলির চাষিদের – hooghly potato farmers getting trouble for low cultivation for bad weather


West Bengal News : উভয় সংকটে হুগলির আলু চাষিরা। গত বছর ফলন বেশি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের। এ বছর চাষ শুরু হয় কিছুটা দেরিতে। উলটে ফলন কম। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষিরা।

প্রতিকূল আবহাওয়ায় ফলন কম যাওয়ায় এ বছরও চরম আর্থিক সংকটের আশঙ্কায় রয়েছেন জেলার চাষিরা। হুগলি জেলার মধ্যে আরামবাগ মহকুমার নদীবাঁধ সংলগ্ন জায়গায় আলু চাষ বেশি। প্রায় দুই মাস আগে থেকেই আলু তোলার কাজ শুরু হয়েছে আরামবাগ মহকুমায়।

Hooghly News : চাই ন্যায্য মুল্য! রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ বাম কৃষক সংগঠনের
গতবার আলুর ব্যপক ফলনে কপাল পুড়েছিল চাষিদের। এ বার প্রতিকূল আবহাওয়ায় কম ফলন হয়েছে। আর তাতেও সংকটের মুখে চাষিরা। প্রকৃত আলু চাষিরা আলুর দাম না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তাঁরা। বর্তমানে কিছুটা আলুর দাম বাড়লেও প্রকৃত আলু চাষিরা সেই দাম থেকে বঞ্চিত হয়ে আছেন বলে অভিযোগ।

আলু তোলার কাজ প্রায় শেষের পথে। আলু হিমঘরজাত করার কাজ চলছে পুরোদমে। বেশিভাগ আলুই এখন ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। প্রকৃত চাষিরা মাঠ থেকে আলু অনেক আগেই কম দামে বিক্রয় করে দিয়েছে।

আরামবাগ মহকুমার আলু চাষিরা সমস্যায় রয়েছেন বলে জানাচ্ছেন। এ বছর বেশ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছিল আলুর চাষ। লাভের আশা করছিলেন জেলার চাষিরা। অন্তত কিছুটা বেশি দাম পাওয়া যাবে বলেই তাঁদের ধারণা ছিল। কিন্তু দাম কিছুটা থাকলেও আলুর ফলন বিঘা প্রতি কমে যাওয়ায় শুরু হয় বিপত্তি।

Jalpaiguri News : হিমঘরে আলু রাখার চুক্তিপত্র নিতে গিয়ে হুড়োহুড়ি, জলপাইগুড়িতে পদপিষ্ট ১৩ জন চাষি
কৃষি দফতর সূত্রের খবর, এখন আরামবাগ মহকুমা জুড়ে ফসল তোলার কাজ চলছে। প্রতি বছর এ সময়েই মাঠেই ভিড় করেন ফোঁড়েরা। অধিকাংশ চাষিই জমি থেকে আলু তোলার পর বেশিরভাগ আলু ফোঁড়েদের দিয়ে দিতে বাধ্য হন। হাতে নগদ টাকাও পেয়ে যান।

এ বারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। অনেক চাষিকে একপ্রকার বাধ্য হয়েই ফোঁড়েদের কবলে পড়তে হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার প্রতি কুইন্টাল ৬৫০ টাকা দরে কিনছে বলে জানা যাচ্ছে।

আরামবাগের সালেপুর এলাকার এক চাষি সুনীল বেরা বলেন, “আলু চাষে সবই লোকসান। বিঘা প্রতি কুড়ি হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমরা বারো হাজার টাকা পাচ্ছি। এক বস্তা আলুর দাম ৩২০ টাকা। বিঘায় ফলন হয়েছে ৫৫ বস্তা করে। সববায়ে ঋণ করে আলু চাষ করেছি। সার ও বীজের দোকানে বাকি রয়েছে। আমরা আর খেতে পাবো না।”

আরেক আলু চাষির কথায়, “প্রতি বিঘাতে আলু চাষে চার পাঁচ হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে। সার, বীজ, শ্রমিকে খরচ বেড়েই চলেছে। আমরা প্রকৃত আলু চাষি দাম পাচ্ছি না।”

West Bengal Local News : বাংলায় সার পাঠাচ্ছে না কেন্দ্র, আতান্তরে চাষিরা
আরামবাগ মহকুমা কৃষি আধিকারিক বাবলু কুমার সাঁতরা জানান, আরামবাগ মহকুমা জুড়ে প্রায় ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এখন সঠিক ভাবে ফলন কতটা হয়েছে বলা যাবে না। এখন সেই বিষয়েই কাজ চলছে। তবে রাজ্য সহায়ক মূল্যে আলু কেনা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *