Kolkata Heritage Buildings : হেরিটেজ সংরক্ষণে নয়া নীতি রাজ্যের – west bengal government took new policy on heritage buildings conservation


পার্থসারথি সেনগুপ্ত
Iদৃষ্টান্ত এক। \Iবছরখানেক আগের কথা। সিদ্ধান্ত প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল ৬৫/২ বাগবাজার স্ট্রিটে পশুপতি বসুর বাড়ির সংরক্ষণের দায়িত্ব পাবে একটি প্রোমোটার সংস্থা। গ্রেড-১ হেরিটেজ বাড়িটিতে গড়ে তোলা হবে বুটিক হোটেল! প্রাথমিক ভাবে তাতে সায়ও দিয়ে দিয়েছিল হেরিটেজ কমিশন। যদিও সুধীজনের একাংশের প্রতিক্রিয়া ছিল, ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে ফেডারেশন হল থেকে শোভাযাত্রার সমাপ্তি হয়েছিল বাগবাজার স্ট্রিটের এই বাড়িতেই।

Durga Puja: সারাবছরই দেখা মিলবে মা দুর্গার, বরানগরের সিলিকন মূর্তি বসল কলকাতা এয়ারপোর্টে
সেখানের ঠাকুরদালানেই হিন্দু, মুসলমানদের মধ্যে সৌভাতৃত্বের প্রতীক হিসেবে হয়েছিল রাখিবন্ধন। খোদ কমিশনেরই এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য লিখিত ভাবে সরকারকে জানান, ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটিতে বুটিক হোটেল ঠিক নয়। বাতিল হয় সংরক্ষণের নামে বসুবাটিতে বেসরকারি সংস্থার হোটেল বানানোর সিদ্ধান্ত।

WB Industrial Meeting: রাজ্যে শিল্প-বাণিজ্যে গতি আনতে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর, MSME, ট্রেন ওয়াগন কারখানা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
দৃষ্টান্ত দুই: তবে বেসরকারি মালিকানায় হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে খিদিরপুরে মাইকেল মধূসূদন দত্তের বাড়ি। হেরিটেজ তকমা সত্ত্বেও সেখানে ঝাঁ-চকচকে শপিং মল বানানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে মালিকদের।

এই সব দৃষ্টান্তে স্পষ্ট, কী ভাবে কলকাতার বুকে হেরিটেজ ভবনগুলির একাংশ মর্যাদা হারাতে বসেছে ‘বেওসার’ পাকেচক্রে। তা ঠেকাতেই এ বার রাজ্য সরকার পিপিপি উদ্যোগে হেরিটেজ ভবনগুলির সংরক্ষণে সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রাথমিক দায়িত্ব বর্তেছে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের উপরে। চূড়ান্ত স্তরে পর্যটন-সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিও মত দেবে। যাতে বিষয়টি সার্বিক রূপ পায়, বহুমাত্রিক হয়। বুধবার নবান্ন সভাঘরে রাজ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল বোর্ডের বৈঠকে হেরিটেজ পর্যটনে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট নীতি প্রণয়নে গুরুত্ব দিতে বলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Actor Dev: দিঘা থেকে দার্জিলিং, মমতা সরকারের পর্যটনের মুখ ‘ঘরের ছেলে’ দেব
এই পিপিপি উদ্যোগ প্রসঙ্গে নবান্নের এক কর্তার বক্তব্য, ‘কলকাতা পুরসভার তালিকায় ওয়ান, টু-এ, টু-বি ও থ্রি–চার ধরনের হেরিটেজ ভবন রয়েছে। প্রথম গোত্রের বাড়িগুলির কাঠামোগত পরিবর্তনে কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গ্রেড টু-এ বা বি’র ক্ষেত্রে অল্পবিস্তর পরিবর্তন গ্রাহ্য। গ্রেড থ্রি’র ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন সম্ভব। প্রস্তাবিত নয়া নীতিতে বেসরকারি সংস্থা সংরক্ষণের সাথে ‘বাণিজ্যিক’ লক্ষ্য নিয়ে এগোলে কতগুলি শর্ত মেনেই এগোতে হবে। বাড়ির ঐতিহাসিক মর্যাদা ও কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই হেরিটেজ ভবনে ব্যবসা করা যেতে পারে।’

UPSC Recruitment 2023: একাধিক পদে নিয়োগ ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনে, আবেদনের খুঁটিনাটি জানুন
অর্থাৎ, কোথায় অডিটোরিয়াম হতে পারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা মিউজিয়াম, কিংবা পর্যটনকেন্দ্র–তা প্রস্তাবিত নীতি মেনেই করতে হবে। অন্য দিকে, বাড়ির মালিককে সমমূল্যের সম্পত্তি দিতে হবে বেসরকারি সংস্থাকে বা তিনি মেরামতির পরে সংরক্ষিত ভবনের একাংশে থাকতে চাইলে, বসবাসের ব্যবস্থাও করতে হবে। উল্লেখ্য, বসুবাটিকে বুটিক হোটেলে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন যে সুধীজনেরা, তাঁদের অন্যতম ইতিহাসবিদ সুবীর ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘হেরিটেজ সংরক্ষণে সরকারের নীতি নির্ধারণকে রাজ্যবাসী স্বাগত জানাবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *