‘৪২ দিন জেল খেটেছি… পরোয়া করি না’
এদিন DA আন্দোলনকারীদের মঞ্চে তাঁকে যে ব্যক্তি ধাক্কা মারে, সে আদৌ কোনও চক্রান্তে সামিল থাকতে পারেন। এমনটাই মনে করছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “কোনও পরিকল্পনা করেই পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিঘ্ন ঘটাতে কারা তাঁকে পাঠিয়েছে পুলিশ খুঁজে বের করুক।”
তবে এই ঘটনায় তিনি যে একফোঁটাও বিচলিত নন, তা স্পষ্ট করলেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আসলে অন্ধকার জগতের লোকেরা আলোকে ভয় পায়। সারাদিন চলার পথে যদি তুমি বাধার সম্মুখীন না হও তাহলে বুঝবে তুমি ভুল পথে আছো। এ সব ধাক্কাধাক্কি নিয়ে আমি ভাবি না। আমি মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে বিরোধী রাজনীতিতে এসেছি। আমার সিকিউরিটি লাগে না। মানুষের কথা বলতে এসে মার খেতে হলে খাব। আপনাদের বলব সজাগ থাকবেন। আন্দোলনে জোয়ার পৌঁছে সর্বত্র গিয়েছে। শাসক ভয় পেয়েছে। ৪২ দিন জেলে খেটে এসেছি। আমি এ সব পরোয়া করি না।”
বিধায়ককে সজোরা ধাক্কা
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন DA মঞ্চে? শুক্রবার সকালেই DA আন্দোলনকারীদের অনশন মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক। তাঁদের বকেয়া DA-র দাবিকে সমর্থন জানিয়ে তিনিও প্রতীকী অনশনে বসেছিলেন। সেখানে তাঁর মেডিক্যাল চেক আপও হয়। এরপর তিনি ভাষণ দিতে উঠতেই ঘটে বিপত্তি। এক ব্যক্তি দর্শকাসন থেকে উঠে আচমকাই নওশাদের দিকে এগিয়ে যায়। বিধায়ককে তাঁর প্রশ্ন ছিল, “আপনি সংখ্যালঘুদের জন্য কী করছেন?” নওশাদ জবাব দিতে না দিতেই তাঁর দিকে তেড়ে যান ওই ব্যক্তি। সজোরে ধাক্কা মারেন নওশাদ সিদ্দিকিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তি এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পাকড়াও করতে এগিয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। মঞ্চের বাইরে থাকা পুলিশ বাহিনী ওই ব্যক্তিকে আটক করে তুলে নিয়ে যায়।