২০২০-তে প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় এ নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য গত ২ মার্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক এফআইআর করারও অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালত সেই নির্দেশ দেওয়ার পরে শনিবার, ১৮ তারিখ এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
২০২০-র বেআইনি নিয়োগের নেপথ্যে অন্যতম প্রধান চক্রী হিসেবে আদালত চিহ্নিত করেছে এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে। ২০১৪-র টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল এই সংস্থা। পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব কী ভাবে বেসরকারি সংস্থাটিকে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই এবং ইডি। অভিযোগ, প্রাথমিকের শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য পর্ষদ বহু ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছে।
এবং তার পিছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা এই কোম্পানির। তথ্য-বিকৃতি, বহু ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করার অভিযোগও উঠেছে। এমন অনেক প্রার্থীর নাম উঠে এসেছে, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়েই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। তাঁদের ব্যাপারেও এ বার তদন্তে নামছে সিবিআই।
এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে পর্ষদ ‘কনফিডেনশিয়াল সেকশন’ বলে চিহ্নিত করেছিল। পর্ষদের তৎকালীন অ্যাড হক কমিটির সদস্যদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই সংস্থা ও তার কর্মকাণ্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। প্রয়োজনে সদস্যদের হেফাজতেও নেওয়া যাবে বলে অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে ওই কমিটিতে ৮০ বছরের একজন মহিলা সদস্য ছিলেন। তাঁকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ রয়েছে আদালতের।