নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একের পর এক মহিলা-যোগ সামনে এসেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, গোপাল দলপতির স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় বা কুন্তল ঘনিষ্ঠ সোমা চক্রবর্তীকে নিয়ে আলোড়িত হয়েছে রাজ্য। এবার অয়ন ঘনিষ্ঠ আরও এক রহস্যময়ীকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়নকে গ্রেফতারের পরই তাঁর মোবাইল ফোনের হোয়াটস্যাপ চ্যাট ঘেঁটে এক রহস্যময়ীর সন্ধান পান আধিকারিকরা। ইডির দাবি, ওই মহিলা অয়নকে হোয়াটস্যাপে মেজেস করে বলেন, ‘পালিয়ে যাও, জিনিসপত্র সরিয়ে দাও। ইডি আসতে পারে।’ এই চ্যাট দেখে হতবাক তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার অয়নকে মেজেস করে সতর্ক করেন এই মহিলা। তদন্তকারীরা এই বিষয়ে অয়নে প্রশ্ন করলে তিনি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেই জানা গিয়েছে। এই মহিলাকে খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
তদন্ত চালিয়ে অয়ন ঘনিষ্ঠ আরও এক রহস্যময়ীর নাম খুঁজে পেয়েছে ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের দাবি ওই মহিলার নাম শ্বেতা চক্রবর্তী। তিনি মডেলিং করেন পাশাপাশি রাজ্যের একটি পুরসভায় কর্মরত। তিনি অয়নের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলে দাবি তদন্তকারীদের। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতার অ্যাকাউন্টে ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এমনকী অয়নের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে একটি ছিল শ্বেতার, ইডি সূত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। শ্বেতা নামে ওই রহস্যময়ী একটি হন্ডা সিটি গাড়ি কিনেছিলেন বলেও ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইডি আধিকারিকদের অনুমান, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে যে ২৫ লাখ টাকা শ্বেতার অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল, সেই টাকা থেকে বিলাসবহুল গাড়িটির টাকা দেওয়া হয়। যে মহিলা অয়নকে হোয়াটস্যাপে সতর্ক করেছিলেন তিনি ও শ্বেতা একই ব্যক্তি কিনা, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। আগামী দিনে এই তদন্ত নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।