Sweta Chakrborty : চাকরি খোয়ানোর ভয়! বৃহস্পতির সকালে হঠাৎ অফিসে পুর ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতা – sweta chakraborty allegedly involved in recruitment scam joins kamarhati municipality office today


সৌমেন রায় চৌধুরী | এই সময় ডিজিটাল

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নাম জড়ানোর পর থেকে অফিসে আসছিলেন না হুগলির প্রোমোটার অয়ন চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী। তিনি কামারহাটি পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। বৃহস্পতিবার একাধিক সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিতও হয়েছিল। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের চিন্তভাবনাও শুরু করেছিল কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে কোনও এক অজানা কারণে ফের অফিসে যোগদান করেন শ্বেতা। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ানোর পর এই প্রথম তাঁকে পুরসভায় কাজ করতে দেখা গেল।

Sweta Chakraborty : বিনা নোটিশে টানা কামাই, শ্বেতার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ কামারহাটি পুরসভার?
তাঁকে অফিসে আসতে দেখে তাঁর সহকর্মীরাও খানিক হকচকিয়ে যান। কারণ তিনি কী কারণে শনিবার থেকে অনুপস্থিত, সেই তথ্য কারও কাছেই ছিল না। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার তাঁকে কাজে যোগদান করতে দেখে কামারহাটি পুরসভার কোনও কোনও কর্মীকে মুখ টিপে হাসতেও দেখা যায়। তবে এদিন শ্বেতা কখন অফিস থেকে বেরোলেন সেই নিয়ে কিছু জানা যায়নি।

শ্বেতাকে এদিন অফিসে দেখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কামারহাটি পুরসভার এক কর্মীর সহাস্য মন্তব্য, “উনি কখন অফিস আসতেন, কখন বেরিয়ে যেতেন জানাই যেত না। হঠাৎ করেই অফিসে আসা বন্ধ করে দেন। যেই পুরসভা ওঁনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে, চাকরি বাঁচাতে তিনি হঠাৎ করে অফিসে চলে এলেন।” যদিও এই প্রসঙ্গে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, “অনুমতি না নিয়ে তিনদিন ছুটি নেওয়া যায়। এটা সাধারণ বিষয়। আজকে সাধারণ দিনে মতো অফিসে এসেছিলেন।”

Sweta Chakraborty Ayan Sil: অয়ন ঘনিষ্ঠ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতার চাকরিও আতস কাচের তলায়, মুখ খুলল পুরসভা
কালই শ্বেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কামারহাটির পুর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “বিনা নোটিশে শনিবার থেকে অফিসে আসছেন না তিনি। এমন চলতে থাকলে তাঁকে শোকজ করা হবে। শোকজের কোনও উপযুক্ত জবাব না পাওয়া হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।”

Sweta Chakraborty Model : অয়নের সৌজন্যে মডেলিং-অভিনয়ে হাতে খড়ি? শ্বেতা বললেন…
উল্লেখ্য, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে গ্রেফতারের পর তাঁর অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে শ্বেতার নাম পাওয়া যায়। অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতার অ্যাকাউন্টে ৫৫ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল ইডি। যদিও সেই কথা অস্বীকার করেন শ্বেতা। তাঁর দাবি ছিল অয়নের থেকে তিনি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। পরে সেই ফ্ল্যাট না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি শ্বেতা দাবি করেন তাঁকে যে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে, তা কখনই ৫৫ লাখ টাকা নয়। ইডি ডাকলে যাবতীয় নথি দিয়ে সাহায্যের কথাও বলেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *