জানা যায়, বাঁকুড়া (Bankura) জেলার ইন্দাস ব্লকের আকুই দুই নম্বর অঞ্চলের ঈশ্বরপুর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি হলেন চঞ্চল কোনার। তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ছাগল আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
তারই প্রতিবাদে গোষ্ঠীর মহিলারা চঞ্চল কোনারের বাড়ির বাইরে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। যদিও সেই মুহূর্তে চঞ্চল কোনার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
তনুশ্রী পাত্র নামে বিক্ষোভকারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক সদস্যা জানান, “গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য যে ছাগল এসেছিল চঞ্চল কোনার তা বিক্রি করে দিয়েছেন। উনি কেন এমনটা করবেন? তার প্রতিবাদে আমরা ওই তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।”
তাদের ছাগল ফিরিয়ে দিতে হবে এমনটাই তারা দাবি করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন চঞ্চল কোণার। এই ঘটনার পিছনে BJP-র ইন্ধন রয়েছে বলেই তিনি দাবি করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে তিনি জানান, “BJP কিছু মহিলাদের ভুল বুঝিয়ে আমার বাড়ির সামনে নিয়ে এসেছিল। ওদের তো কোনও ইস্যু নেই, তাই ওরা এসব করছে।”
ইন্দাস ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধক্ষ্য শেখ সাইফুদ্দিন অবশ্য চঞ্চল কোনারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, “চঞ্চল কোনার অত্যন্ত ভালো ছেলে। পঞ্চায়েত থেকে সরকারিভাবে চঞ্চল কোনারকে কোনও ছাগল দেওয়া হয়নি।” চঞ্চল কোনারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের এটা একটা চক্রান্ত বলে মনে করেন তিনি। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবির।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা BJP-র সভাপতি বিলেশ্বর সিংহ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এটাই দেখার বাকি ছিল বালি চুরি গোরু চুরি কয়লা চুরি আর এবার ছাগল চুরি। এর বিরুদ্ধে মহিলারা রাস্তায় বেরিয়েছেন, প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।”
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই ছাগল চোরদের মানুষ উৎখাত করবে বলে তিনি জানান।