স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সাল অবধি এই রাইস মিলটি হারাধন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ছিল। রাইস মিলে তাঁর ছেলের অংশীদারিত্বও ছিল। পরবর্তীকালে এই রাইস মিলটি অনুব্রত মণ্ডলকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই রাইস মিলের সংলগ্ন আরও একটি চালকলও কিনেছিলেন অনুব্রত, স্থানীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। দুই রাইস মিলকে এক করে নাম দেওয়া হয় ভোলে ব্যোম নামকরণ করা হয়।
তবে এই চালকলটি অনুব্রত কিনলেও খাতায় কলমে তাঁর মালিক ছিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। অনুব্রতকে গ্রেফতারির পর সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে স্ত্রী ছবি ও কন্যা সুকান্যার নামে রাইস মিলটি কিনেছিলেন কেষ্ট। সিবিআইয়ের দাবি, মাত্র ৮ লাখ টাকায় এই চালকলটি কেনা হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে লক্ষাধিক লোকের খাওয়া দাওযার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এমনকী এই রাইস মিলে অনেক প্রভাবশালী মানুষকে আসতেও দেখা যেত। এমনকী বহু নামী মানুষ এখানে প্রতিনিয়ত আসতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভোলে ব্যোম রাইস মিলের এক কর্মী এই প্রসঙ্গে বলেন, “আগে নিয়মিত সঠিক সময়ে বেতন পেতাম। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফাতারির পর থেকে আমরা আর বেতন পাচ্ছি না। খুবই সমস্যা মধ্যে রয়েছি। এইভাবে বেতন ছাড়া কতদিন চলবে জানি না।”
উল্লেখ্য ২০২২ সালের ১১ অগস্ট গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আসানসোল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকাকালীন তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। তদন্তকারীদের দাবি, গ্রেফতারির পর থেকে অনুব্রত ও তাঁর কন্যার বিরুদ্ধে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলকে এই মুহূর্তে তিহাড়ে রয়েছে। আাগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।