Midnapore Medical College : বিড়াল-কুকুরদের অবাধ যাতায়াত! মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে তিতিবিরক্ত নার্স থেকে রোগীরা – midnapore medical college cats and dogs nuisance


Paschim Medinipur News : রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কুকুর ও বিড়ালের উপদ্রব নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন ওঠে মাঝেমধ্যেই। জেলার হাসপাতালগুলিতে কুকুর বিড়ালের উপদ্রব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ফের। বিভিন্ন সময় হাসপাতালগুলিতে এদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোগী থেকে রোগীর বাড়ির লোকজন, হাসপাতালের কর্মীরা সরব হলেও তা যে আদৌ স্বাস্থ্য দফতর বা পুরসভার টনক নড়াতে পারেনি তা মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ঘুরলেই টের পাওয়া যায়।

Tamluk Medical College : জলের অভাবে বন্ধ ডায়ালিসিস সহ জরুরি পরিষেবা! চরম সমস্যা তমলুক মেডিক্যাল কলেজ
এই হাসপাতালের প্রতিটা ওয়ার্ডেই অবাধ বিচরণ বিড়াল ছানাদের। কখনও তারা উঠে পড়ছে রোগীর শয্যায় তো কখনও মুখ দিচ্ছে রোগীর খাবারে। এমনই ছবি ধরা পরল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। জেলা সদরের ‘এ’ গ্রেড হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

Nadia News : চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, উত্তেজনা কল্যাণীর হাসপাতালে
৯৫০ শয্যার এই হাসপাতালে নিত্যদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকেন ১২০০ থেকে ১২৫০ জন। আর এখানেই বিড়ালের দৌরাত্মে কার্যত অতিষ্ঠ রোগী ও রোগীর প্রয়োজনরা। প্রতিটি ওয়ার্ডেই ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক বিড়াল। সর্বত্রই অবাধ বিচরণ বিড়াল ছানাদের। কখনও তারা উঠে পড়ছে রোগীর বিছানায় তো কখনও আবার মুখ দিচ্ছে রোগীর খাবারে।

Digha State General Hospital : চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, ভাঙচুর! ব্যাপক উত্তেজনা দিঘা হাসপাতালে
নজরদারি নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। জেলার ‘এ’ গ্রেড হাসপাতালের এমন চিত্র কেন? কেন দমন করে যাচ্ছে না বিড়ালের দৌরাত্ম? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যদিও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত রাউৎ জানিয়েছেন, “বিষয়টি ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে। কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে”।

Alipurduar District Hospital : রোগীদের থেকে টাকা তোলার অভিযোগ! আয়াদের বের করলেন হাসপাতাল সুপার
হাসপাতালের এক কর্মীর অভিযোগ, এমনিতেই হাসপাতালে শয্যার থেকে অনেক রোগী বেশি থাকায় অনেক সময় রোগীদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। এই অবস্থায় হাসপাতালে এসে কেউ কুকুর, বিড়ালের কামড় খেলে বিড়ম্বনার শেষ থাকবে না। হাসপাতালের শিশুবিভাগে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় বলেন, “ওষুধপত্র গুছিয়ে রাখা দূরে থাক, বিছানায় রোগী শুয়ে থাকলে তার উপর দিয়ে ছুটে যাচ্ছে বিড়াল”।

হাসপাতালের এক প্রবীণ নার্সের কথায়, “রুটিন ডিউটির সময় ওয়ার্ডে গেলে ওদের উৎপাত সহ্য করতে হয়। রোগীদের ইঞ্জেকশন কিংবা স্যালাইন দেওয়ার সময় ছুটোছুটি করতে গিয়ে পায়ের ফাঁকে ঢুকে পড়ে”। আরও এক নার্স বলেন, “কাজের সময় যে ভাবে উপদ্রব করে, মনে হয় রোগীকে সামলাবো না ওদের”! যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাঁরা বিড়াল নিয়ে সজাগ রয়েছেন। বিড়াল ধরার জন্য অভিযানের কথা ভাবা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *