পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই সামশেরগঞ্জের শেরপুরে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে গর্ভবতী স্ত্রীকে ছুরি মেরে হত্যা করে আলম। ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী মোসলেমা খাতুন বিড়ি বাঁধছিলেন। মাংসেদর দোকানে আলম কসাইয়ের কাজ করত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আলমকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিনই অভিযুক্ত শাহ আলমকে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। শনিবার সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে শাহ আলমকে নিয়ে শেরপুর গ্রামে মৃত মোসলেমা খাতুনের বাড়ি নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এই ঘটনা ঘটায় আলম। পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে।
গুরুতর জখম অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পুলিশের হেফাজতে থাকা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে কীভাবে ধারাল অস্ত্র পৌঁছল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে অস্ত্র এলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানা (Islampur Police Station Area) এলাকার সুতিনগরে খুনের ঘটনা ঘটেছ। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর বিকৃত যৌন লালসার শিকার হচ্ছিল ওই মহিলা। শেষমেশ স্বামীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় সে। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাঁকে অবশ করে দেওয়া হয়। তারপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই মহিলা। পুলিশি জেরার মুখে খুনের কথা