রোজা শেষ করে তাঁরা আয়োজন করে আখড়ায় অংশ নেওয়া মানুষদের জন্য জলযোগের। শহরের কেরানিতলা এলাকায় যখন এসে পৌঁছয় আখড়া সেই সময় আয়োজকদের ফুলের মালা এবং উত্তরীয় পড়িয়ে স্বাগত জানানো হয়। কয়েক হাজার মানুষের জন্য শরবত এবং মিষ্টির আয়োজন করে তারা।
মেদিনীপুর টাউন মুসলিম কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মাজলা হুজুর বলেন, “সম্প্রীতি রক্ষার জন্য রামনবমী আখড়া উপলক্ষ্যে অংশ নেওয়া মানুষদের সম্বর্ধনা জানানো হয়েছে। তাঁদের জন্য সরবৎ, মিষ্টি তুলে দেওয়া হয়। সর্ব ধর্ম মানুষ বসবাস করে এখানে। সম্প্রতি মূল লক্ষ্য। তবে কিছু অশুভ শক্তি ভাগ করতে চাইছে, তা কোনও মতেই করতে দেওয়া যাবে না।”
মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা রামনবমী উপলক্ষে যে আখড়া বেরিয়েছিল তাদেরকে মেদিনীপুর কেরানিতলা মিসকো ক্লাবের উদ্যোগে। প্রায় চার হাজার মানুষকে দিয়ে মেলবন্ধনের বার্তা দিলেন। তার সঙ্গে আখড়া কমিটির সদস্যদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে ও গলায় ফুলের মালা দিয়ে সম্মান জানায় ক্লাবের পক্ষ থেকে। কেরানিতলা মিসকো ক্লাবের সম্পাদক এনামুল খান ও সাব্বির হোসেনরা বলেন, আমরা সবাই এক। তাই এদিনের এই আয়োজন।
সুভাষ সংঘ ব্যায়ামাগার এর সভাপতি তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ঐতিহাসিক মেদিনীপুর শহর। শান্তি সম্প্রীতি সৌহার্দ্য বজায় রেখে চলা। মুসলিম ভাইয়েরা আজ শরবত-এর ব্যবস্থা করে। নতুন করে দেখিয়েছে মেদিনীপুরে সম্প্রীতির বার্তা। জাতীয় ধর্মের উদ্ধে উঠে সম্প্রীতি শেষ কথা।
প্রসঙ্গত, এর আগে শিলিগুড়িতে গত বৃহস্পতিবার শহরজুড়ে রাম নবমীর শোভাযাত্রা হয়। সেদিন লক্ষাধিক মানুষ রাম নবমীর শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন। কড়া রোদে দূর দূরান্ত থেকে আসা অনেকেই এদিন রাম নবমীর মিছিলে হাঁটেন। তাঁদের জন্যই এগিয়ে আসতে দেখা যায় স্থানীয় মুসলিম যুবকদের। রাম নবমীর মিছিলে আসা লোকজনের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করল স্থানীয় মুসলিম যুবকরা। শিলিগুড়ির হাশমি চকে এদিন এক ‘সম্প্রীতি’ ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।