এর আগেও আরেকবার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী এসেছিলেন। সেদিনও শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে ফিরে যান তিনি। আবার বৃহস্পতিবার সাধন চক্রবর্তী আসেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এবং পূনরায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
এদিন থালা বাজিয়ে গো ব্যাক শ্লোগানে উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ চালাতে থাকেন শিক্ষক ও ছাত্ররা। পাশাপাশি উপাচার্যকে মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। উপাচার্য পালটা মালা পরিয়ে দেন। এক শিক্ষকের মুঁখে মিষ্টিও গুঁজে দেন। আর তাতেই এক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই শিক্ষক উপাচার্যকে মিষ্টি খাওয়াতে গিয়েছিলেন। উপাচার্য নিজেই আরেকটি মিষ্টি তার মুখে গুঁজে দেন। তাতেই মিষ্টির রস আটকে যায় শান্তনু বাবুর গলায়।
দম নিতে না পেরে কিছুক্ষন তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন বলে নিজেই দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। হইচইয়ের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আসে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। পুলিশ বিক্ষোভের মুখ থেকে উপাচার্যকে নিয়ে গিয়ে তার গাড়িতে চাপান।
এরপর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। বেশ কিছু সময় বিক্ষোভ চলার পর পুলিশি তৎপরতায় উপাচার্যের গাড়ি মুক্ত হয়। তারপর তিনি বেরিয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অশিক্ষক কর্মী দেবাশিষ ব্যানার্জি জানান, “এই উপাচার্য দূর্নীতিগ্রস্থ। ওনার সঙ্গে এখানে কেউ কাজ করতে চান না। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো চান না। তাই আমরা সবাই ওনাকে বয়কট করেছি। তাও উনি জোর করে এখানে এসে ঢুকতে চাইছেন। আজ ওনার জন্য এক শিক্ষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।”
প্রসঙ্গত, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে টানা আন্দোলন বিক্ষোভ চালাচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও আধিকারিকদের একটা বড় অংশ। গত ১৩ মার্চ থেকে চলছে এই পরিস্থিতি। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে গত ১, ২, ৩রা এপ্রিল তিন দফায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন উপাচার্য। যদিও, আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে।