সাত সকালে নৃশংস ভাবে খুন হলেন এক ফেরিওয়ালা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত টিটিহি কালিবাড়ি এলাকায়। রাস্তার ধারে ভুট্টাক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মুণ্ডুহীন দেহ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই ফেরিওয়ালার বাড়ি মালদা জেলার কালিয়াচক থানার নবীনগর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৬-৭ বছর থেকে এই অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে জিনিস ফেরি করতেন মোস্তাক। বাঙ্গালবাড়ি মোড়ে এক বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। শুক্রবার সকাল ৭ টা নাগাদ তিনি সাইকেলে জিনিসপত্র নিয়ে বেড়িয়ে পরেন ফেরি করতে। এলাকার একটি চায়ের দোকানে তাঁকে চা খেতেও দেখা যায় বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এরপরই ঘটে যায় এমন নৃশংস ঘটনা।
খবর চাউর হতেই ভিড় জমে যায় ঘটনাস্থলে। স্থানীয়রাই মুণ্ডুহীন দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন। পাশে সাইকেল ও ফেরির জিনিসপত্র পড়ে ছিল। স্থানীয়রা জানান, আগে এই এলাকায় এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। ফলে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত সকলেই। দ্রুত পুলিশি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হেমতাবাদ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তল্লাশী চালিয়ে কিছুটা দূর থেকে উদ্ধার হয় কাটা মাথাটিও। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শ্যামলি বালা রায়। পুলিশ ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীকে খুঁজে বার করুক বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকার অন্যান্য ফেরিওয়ালারাও। তাঁরা জানান, ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে তাঁরা ফেরি করেন। তবে এমন ঘটনা এই এলাকায় কখনও শোনা যায়নি৷ কী কারণে তাঁকে এমনভাবে খুন করা হল ? কারা এমন ঘটনা ঘটলো ? পুরো বিষয়টি নিয়ে ধন্দে স্থানীয়রা। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই কালিয়াচকের ১ যুবককে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও।