নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। একের পর এক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারির পর শাসকদলের অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। ED-CBI এর মতো সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ শাসকদলের। এদিন ইডি-সিবিআই তদন্ত নিয়েও মুখ খোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, “কোনও সিবিআই-ইডির ক্ষমতা নেই। তৃণমূল কংগ্রেস বিশুদ্ধ লোহা। যত মারবেন, যত পোড়াবেন তত শক্তিশালী হবে। আমাদের পিছনে যত এই সব লাগাবেন, আন্দোলন ও প্রতিবাদের ভাষা তীব্রতর হবে।”
এর পাশাপাশি অভিষেক জানিয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলেও তাঁরা কোনও আপত্তি নেই। এমনকী বিজেপির মতো তিনি চোরদের বুকে আগলে রাখেন না বলেও দাবি করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে অভিষেক বলেন, “দুর্নীতির নামে আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার টাকাও আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি শুধু মমতা বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শত্রু নয় বাংলার শত্রু। বাংলার অধিকারের জন্য আমাদের লড়াইয়ে আপনাদের পাশে থাকতে হবে।”
আর কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রার্থী হওয়া নিয়ে একাধিক জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীবিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেই নিয়ে দলকে এদিন কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী করা হবে, সেই নিয়ে আমি খোঁজ নেব। এই নিয়ে আর কিছুদিন পর বিস্তারিত বলব। আগেও বলেছি, আবার বলছি। মানুষ যাঁকে সার্টিফিকেট দেবে, পঞ্চায়েতে তিনিই প্রার্থী হবেন। কোনও দাদা-দিদি ধরে কাজ হবে না।”
কয়েকদিন আগেই বাংলার বকেয়া টাকা নিয়ে অভিষেকের নেতৃ্ত্বে তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে দেখার করার চেষ্টা করেছিলেন। বাংলার বঞ্চনার বিষয় নিয়ে ফের একবার দিল্লি স্তব্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “এঁরা যে ভাষা বোঝে, সেই ভাষায় জবাব দেওয়া হবে। বাংলাকে বঞ্চনা করা হলে আমার ছেড়ে কথা বলব না। বাংলার প্রাপ্য টাকা ছিনিয়ে আনব।”