তিনি বলেন, “কলকাতা পুরসভার পার্কিং ফি বৃদ্ধি হবে না কমবে, তা মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে পারেন না। ওটা পুরসভার কাজ। মেয়রের কাজ। একটা সংবিধান আছে।
একসময় দেখা যেত মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী ছিলেন এই ফিরহাদ হাকিম। এবার তাঁরই বিরোধিতা করা হচ্ছে”। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন দুর্নীতির দায়ে জেলে যান তখনই তৃণমূল কংগ্রেস তাকে বহিষ্কার করে। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল দুর্নীতির দায়ে জেলে গেলেও তিনি দলের সম্পদ। কারন তার সঙ্গে হয়তো শান্তিনিকেতনের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে”।
পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারের একাধিক বিষয় নিয়েও সরব হন নওশাদ সিদ্দিকি। রাজু ঝা খুনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত কেন লিংকম্যান আব্দুল লতিফকে খুঁজে বের করা যাচ্ছে না তা নিয়েও তিনি সরব হন। অন্যদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে ৪ মহিলাকে দণ্ডী কাটিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করার ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।
এদিনের কর্মীসভা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি স্বরূপ কুলপি বিধানসভা এলাকা থেকে ২০০-র বেশি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক ISF-এ যোগ দেন। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির হাত থেকে ISF-এর দলীয় পতাকা নিয়ে তাঁদের দলে যোগদান করতে দেখা যায়। এদিনের কুলপির মোল্লারচকে ISF-এর কর্মীসভায় কয়েক হাজার কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।
এছাড়াও এদিন রাজ্যে হাওড়া ও রিষড়ার অশান্তি নিয়ে নওশাদ সরব হয়ে বলেন, “রাজ্য সরকার সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিয়ে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে চাইছ। রাজ্যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা আসছেন, তাদেরকে অশান্তির ঘটনার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে”।
এদিন সভায় উপস্থিত মহিলাদের উদ্দেশ্যে নওশাদ বলেন, “উঠে দাঁড়ান, লড়াই করুন। আপনাদের হাতে ভিক্ষের ৫০০ টাকা দিয়ে আপনাদের বাড়ির পুরুষদের হাতে তৃণমূল ২০ টাকার মদের পাউচ ধরিয়ে দিচ্ছে। তাই ভোটটা সঠিক জায়গায় বুঝে শুনে দিন”।