জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের তৈরি করা এই বিশেষ টাস্ক ১ জন এসপি ও ৩ জন ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছেন। এর পাশাপাশি ২ জন ইন্সেপেক্টর ও ১ জন সাব ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা এখন বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের যত দ্রত সম্ভব তাঁদের নিজাম প্যালেসের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ বা দুর্নীতি দমন শাখার অফিসে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ৩০ মে অর্থাৎ আগামী দু’মাস তাঁদের নিজাম প্যালেসের অফিসে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই কলকাতার অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ থেকে সিবিআইয়ের দিল্লির সদর দফতরে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্টে জানানো হয় যে তদন্তে প্রতিদিন নতুন নতুন ব্যক্তির নাম ও তথ্য প্রমাণ উঠে আসছে। তদন্তের বিস্তার ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে গতি আনা যাচ্ছে না।
ধীর তদন্ত গতির জন্য একাধিকবার আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। এর আগে আটজন অফিসার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নতুন সাত জনের অন্তর্ভুক্তির ফলে এখন ১৫ জনের দল নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এই মুহূর্তে রাজ্যের অন্যতম জ্বলন্ত ইস্যু। সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডিও এই মামলার আর্থিক লেনদেনের তদন্ত করছে। এই মামলার তদন্তে নেমে রাজ্যের শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ অনেকে।
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, এই সাত সিবিআই আধিকারিক নিজাম প্যালেসের অফিসে যোগ দিলে তদন্তের গতি বাড়বে। যাঁরা এখন সিবিআই রাডারে রয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে। আগামী দিনে এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া কোনদিকে যায়, নতুন কোনও নাম সামনে আসে কিনা, সেটাই এখন দেখার।