ইডির জেরা মুখে ৪০ কোটি টাকা তোলার কথা স্বীকার করলেও, সবটা তিনি পাননি বলে অয়ন দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, এই বিপুল পরিমাণ টাকার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৮ থেক ১০ কোটি টাকা তিনি কমিশন হিসেবে পেয়েছেন। বাকি টাকা পুরসভার প্রভাবশালীদের কাছে চলে গিয়েছে, ইডি সূত্রে এমনটাই খবর। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাতে নিয়োগের নামে এই বিপুল টাকা তোলা হয়েছে বলে দাবি ইডির কাছে দাবি অয়নের।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়ন শীলকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রভাবশালীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরে আগামী দিন তাঁদের ডাকা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি আধিকারিকরা অয়নকে গ্রেফতারির পরই দাবি করেছিলেন শুধু শিক্ষা নয়, রাজ্যের অন্য দফতরের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩৭ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়ে সল্টলেকের অফিস থেকে অয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। হুগলির এই প্রোমোটার নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এমনকী শান্তনুর অয়নের সংস্থার মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করত বলে দাবি করে ইডি। শুধু তাই নয়, অয়নের গ্রেফতারির পর আদালতে ইডি দাবি করে যে ‘সোনার খনি’-র হদিশ পাওয়া গিয়েছে। অয়নের বাড়ি থেকে রাজ্য ৬০ টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও উদ্ধার করে ইডি। অয়নকে জেরা করে আগামী দিন অন্য কোনও নতুন তথ্য সামনে আসে কি না, সেটাই এখন দেখার।
অন্যদিকে ইডির পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গতি আনতে বন্ধপরিকর সিবিআইও। তদন্তে গতি আনতে ৭ সদস্যের বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআইয়ের এই টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের দ্রুত নিজাম প্যালেসের দুর্নীতি দমন শাখার দফতরে যোগ দিতে বলা হয়েছে। নতুন টাস্ক ফোর্সে এসপি পদমর্যাদার ১ জন ও ডিএসপি পদমর্যাদার ৩ জন অফিসার রয়েছেন। নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কোনও তথ্য সামনে আসে কি না, সেটাই এখন দেখার।