আক্রান্ত দশমী দুর্লভ নামের গৃহবধূ জানিয়েছেন, এক বছর আগে বর্ধমান জেলার বুলবুলি তলার হাজরা পাড়া বড়ার বাগান এলাকার বাপ্পা বৈরাগ্য নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়। নির্যাতিতা মহিলার অভিযেোগ বিয়ের পর থেকে তাঁর স্বামী প্রতিনিয়ত অত্যাচার ও শারীরিক নির্যাতন করে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শান্তিপুরে দিদার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেন তিনি।
বিগত কয়েকদিন ধরে দিদার বাড়িতেই তিনি ছিলেন। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তাঁর স্বামী হঠাৎ মদ্যপ অবস্থায় সেখানে আসে। শুরু বেধড়ক মারধর। ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৃহবধূর পেটে লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর বৃদ্ধা দিদি ঠেকাতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি।
এই ঘটনার পর থেকেই শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থতা বোধ করছিলেন তিনি। মঙ্গলবার স্বামীর শাস্তির দাবিতে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন গৃহবধূ ও তাঁর দিদা। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় (Shantipur Police Station) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
ওই গৃহবধূ বলেন, “আমরা স্বামী যেভাবে আমার উপর অত্যাচার করে তাতে তাঁর সঙ্গে আর কোনওভাবেই সংসার করা সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন, “আমি অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে খোরপোশের দাবি জানাব।” স্থানীয় বাসিন্দারাও সোমবার রাতে ওই মহিলার দিদার বাড়িতে চিৎকার-চেঁচামেচির কথা জানিয়েছেন।
নির্যাতিতার দিদা এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমি ছাড়া ওঁর এই দুনিয়ায় আর কেউ নেই। কয়েকবছর আগে মা মারা যায়, বাবা ছোটোবেলা থেকে নিরুদ্দেশ। জামাই যেভাবে নাতনির উপরে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করছে তা দিদা হিসাবে মেনে নিতে পারছি না আমি। গর্ভবতী অবস্থায় তাঁকে যেভাবে লাথি মারা হয়েছে, এটা কোনও সুস্থ মানুষ করতে পারে না। এই ঘটনার পর থেকে আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছি।”