এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগে ওএমআর বিকৃতির অভিযোগে ধৃত নীলাদ্রি দাসের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে এ বার বিদায় জানাচ্ছে রাজ্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। ওএমআর মূল্যায়ন, প্রার্থীদের ই-অ্যাডমিট, অ্যাটেন্ড্যান্স শিট, মেরিট লিস্ট তৈরি-সহ নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনে পিএসসি নতুন সংস্থা বাছাইয়ে টেন্ডার ডেকেছে ৮ এপ্রিল। গত এক বছর এই কাজগুলি করেছে নীলাদ্রির সংস্থা। কিন্তু এখন দুর্নীতিতে নীলাদ্রি গ্রেপ্তার হওয়ায় ওই সংস্থাকে বাদ রাখা হচ্ছে।
এর জেরে লাখ তিনেক ওএমআর মূল্যায়নের কাজ থমকে বলে সরকারি সূত্রে খবর। নতুন সংস্থাকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেগুলির মূল্যায়ন করতে হবে বলে টেন্ডার নোটিসে জানিয়েছে পিএসসি। কিছু দিন ধরেই চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই কমিশনের নানা নিয়োগ পরীক্ষার ফলপ্রকাশে বিলম্বের অভিযোগে সরব ছিলেন। ২০২১ ও ২০২২-এর একাধিক পরীক্ষার ওএমআরের মূল্যায়ন বাকি বলে কমিশন সূত্রের খবর। পিএসসি-র এক আধিকারিকের কথায়, ‘নীলাদ্রির সংস্থার কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল কমিশনেও।’
টেন্ডার নোটিসেও স্পষ্ট যে নীলাদ্রির সংস্থার কাজের মান নিয়ে কমিশনের বড়কর্তারা দোলাচলে আছেন। বিশেষত, সংস্থার তৈরি ওএমআর শিট নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। টেন্ডারের নথিতে বলা হয়েছে – ‘বর্তমানে প্রায় ৫ লক্ষ ওএমআর শিট আছে পিএসসি-র কাছে। সেগুলি পরবর্তী নানা নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যবহার করার কথা। টেন্ডারে যে সংস্থাকে বাছাই করা হবে, তাকে প্রথমেই ওই ওএমআরগুলি স্ক্যান করে দেখে নিতে হবে। এ জন্য তাদের ওএমআর শিটগুলির কিছু নমুনাও দেওয়া হবে।’
টেন্ডার জমা দেওয়ার অন্যতম শর্ত হলো, অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলিকে একটি ‘আন্ডারটেকিং’ দিয়ে জানাতে হবে যে তারা অনৈতিক বা অপরাধমূলক কাজে জড়িত অভিযোগে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের কোনও সংস্থার তরফে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ (ব্ল্যাকলিস্টেড) নয়।