Darjeeling First Female Pilot : পেঁজা মেঘের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবেন দার্জিলিংয়ের সাক্ষী – darjeeling first female pilot in sakshi pradhan


এই সময়, শিলিগুড়ি:কুয়াশার রাজ্য থেকে পেঁজা পেঁজা মেঘের দেশে। সব ঠিক ঠাক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই স্বপ্নপূরণের সফর শুরু করবেন দার্জিলিংয়ের সাক্ষী প্রধান। দার্জিলিং মানেই সারা বছর জুড়ে একরাশ কুয়াশা। সেই কুয়াশা মেখে শৈশবে তাঁর স্কুলে যাওয়া। ম্যালে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা। কিন্তু মনের ভিতরে তিনি যে মেঘের দেশে ওড়ার স্বপ্নটা জ্বালিয়ে রেখেছিলেন, সেটা টের পেল দার্জিলিং।

মার্চেই বাণিজ্যিক বিমান ওড়ানোর লাইসেন্স পেয়েছেন সাক্ষী প্রধান। এই প্রথম দার্জিলিংয়ের কোনও মেয়ে বাণিজ্যিক বিমান ওড়ানোর লাইসেন্স পেলেন। আগামী মে মাস থেকে পেশাগত জীবনে যোগ দেবেন তিনি। বছর চব্বিশের সাক্ষীকে নিয়ে তাই উচ্ছ্বসিত গোটা পাহাড়। খুশি সহপাঠীরাও।

Delhi To Bagdogra Flight : বাগডোগরা আসার পথে বিপত্তি, ২০০ যাত্রী নিয়ে ইন্ডিগো বিমানের এমারজেন্সি ল্যান্ডিং
খোদ জিটিএ চিফ অনীত থাপা তাঁকে সংবর্ধনা জানানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। জিটিএ চিফ বলেন, “দার্জিলিং যে দেশের কোনও অংশের চেয়ে পিছিয়ে নেই, সাক্ষী ফের একবার তা প্রমাণ করল। আমাদের কাছে এটা গৌরবের। সাক্ষীর সাফল্য পাহা়ড়ের যুব সমাজের কাছে আদর্শ হতে পারে। দার্জিলিংয়ে পৌঁছলেই সাক্ষীকে সংবর্ধনা জানানো হবে।”

মেয়ের প্রথম দিনের বিমান ওড়ানো দেখতে দিল্লিতে ছুটেছেন বাবা রুকেশমণি প্রধান এবং মা বন্দনা দেবী। দার্জিলিংয়ের ডি বি গিরি রোডের বাসিন্দা সাক্ষীর বাবা পেশায় প্রিন্টিং জগতের লোক হলেও দাদু ছিলেন সেনাবাহিনীর পাইলট। মা দার্জিলিং মহারানি গার্লস স্কুলের শিক্ষিকা। সাক্ষীর মধ্যে দাদুর বুনে দেওয়া স্বপ্নের বীজ লালন পালন করতে এগিয়ে এসেছে গোটা পরিবার।

Female Auto Driver In Kolkata : বাবার অসুস্থতায় জীবন অন্ধকার, অটো চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন কলকাতার তন্দ্রা
তাই শিলিগুড়ির ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে আইসিএসই পাশ করার পরে সাক্ষীর পরবর্তী লক্ষ্য বেছে নিতে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রথমে একটি বাণিজ্যিক বিমান সংস্থার ক্যাডেড পাইলট ট্রেনিং সংস্থায় যোগ দেন সাক্ষী। সেখান থেকে সোজা উড়ে যান আমেরিকার অ্যারিজোনায় বাণিজ্যিক বিমান ওড়ানোর ট্রেনিং নিতে।

২০২০ সালে দেশে ফিরেই উত্তরাখণ্ডের পন্থনগরে যান ভারতে বাণিজ্যিক বিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণ নিতে। আবুধাবিতে গিয়ে এ-৩২০ বিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণও নেন তিনি। এ সবই ছিল সাক্ষীর বাণিজ্যিক বিমান ওড়ানোর লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের অংশ।

Kurseong Clock Tower : দার্জিলিঙের মতো এবার কার্শিয়ঙেও, ৭৩ বছর পর নয়া ক্লক টাওয়ার পেল পাহাড়
গত ১৫ মার্চ ওই বিমান সংস্থা আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘স্নাতক’ ঘোষণারপরে সাক্ষীর হাতে তুলে দেওয়া হয় বাণিজ্যিক বিমান ওড়ানোর লাইসেন্সও। এখন একদল যাত্রী নিয়ে সাক্ষীর আকাশে ওড়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। রুকেশমণি প্রধান বলেন, “সাক্ষী আমাদের একমাত্র সন্তান। ছোটবেলা থেকেই মেয়েটা পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখত। মেয়ের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিতে সব সময়েই পাশে থেকেছি আমরা। সাক্ষীর স্বপ্নপূরণের সাক্ষী হতে তাই দিল্লি ছুটে এসেছি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *