জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ২টো বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদজীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে পৌঁছন CBI-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এরপরই শুরু হয় গ্রেফতারির প্রক্রিয়া। ভোর ৫টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল বিধায়ককে। এরপর সোয়া ৫টা নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন CBI আধিকারিকরা।
নিয়োগ দুর্নীতি রহস্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে?
ঠিক যেন সমুদ্র মন্থনে অমৃত উঠে আসার সমান। ৩৭ ঘণ্টা ধরে তৃণমূলের বড়ঞার বিধায়কের বাড়ির পিছনের পুকুর ছেঁচে পাওয়া গেল মোবাইল ফোন। গত শুক্রবার এই জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে প্রথম হানা দেয় CBI। তারপর থেকে সেখানেই হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন আধিকারিকরা। আর থাকবে নাই বা কেন। প্রথমে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা, তারপর পুকুরে মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া। ঘটনার ঘনঘটায় তিনদিন ধরে খবরের শিরোনামে ছিলেন এই জীবনকৃষ্ণ। তখন থেকেই কার্যত CBI-এর নজরবন্দি হয়ে ছিলেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।
ঘটনার পুনর্নির্মাণের ঢঙে জীবনকৃষ্ণকে কখনও বাড়ির ছাদে নিয়ে গিয়ে, কখনও বা পাঁচিলের ধারে দাঁড় করিয়ে CBI আধিকারিকরা দেখেছেন, কোথায় এবং কীভাবে, কতটা দূর থেকে তিনি পুকুরে মোবাইল ছুঁড়ে ফেলেন।
শেষমেশ রবিবার সকাল সকাল ৭টা ২৫ মিনিট নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে আবার বাড়ির ছাদে নিয়ে যান গোয়েন্দারা। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানোর জন্য বিধায়কের হাতে একটি ইটের টুকরো দিয়ে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাঁকে পুকুরে ছুড়তে বলেন। যে জায়গায় ইটটি পড়ে, তা চিহ্নিত করে যাঁরা পুকুর ছেঁচার কাজ শুরু হয়। এরপর সকাল ৭টা ৩৮ মিনিট নাগাদ একটি মোবাইলের খোঁজ পান তাঁরা। মোবাইলটি এতটা লম্বা সময় পাঁকে-জলে ডুবে থাকায় তা থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা উদ্ধারের জন্য হায়দরাবাদে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় মোবাইলটির খোঁজ রবিবার সন্ধে পর্যন্ত মেলেনি। মোবাইলের বদলে ঘোলা জল থেকে ওঠে শুধু শোল মাছ। মোবাইলটির খোঁজে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি সাধন প্রামাণিকের সাহায্য চায় সিবিআই। তাঁর তত্ত্বাবধানে সাত-আটজন বাড়তি শ্রমিক নামিয়ে জল ও পাঁকের মধ্যে তল্লাশি চালানো হয়।