অনন্ত মহারাজ বলেন, “উত্তরবঙ্গ যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হচ্ছে সেই সিদ্ধান্ত পাকা। কেবল ঘোষণা হওয়া বাকি। এই এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা হলে ভালোই হবে।”
উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ওই রাজবংশী নেতা। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্র করে পৃথক প্রশাসনিক এলাকা ঘোষণা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। পাহাড়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা গোর্খাল্যান্ড ঘোষণা না হওয়ায় যখন নিজের দলের সাংসদকে দুষছেন, তখন ডুয়ার্সের বিজেপি নেতাদের একাংশ প্রকারান্তরে অনন্ত মহারাজকে সমর্থন করেছেন অনুন্নয়নের প্রশ্ন তুলে।
কিন্তু এ ভাবে প্রকাশ্যে এখনও কেউই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে দাবি করেননি। এদিনও বিজেপির শিলিগুড়ি জেলা সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মণ বলেন, “অনন্ত মহারাজ যা বলেছেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত। আমার কাছে এই ধরনের কোনও খবর নেই। কোনও এলাকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হবে কি না সেটা সম্পূর্ণ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয়।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই বাংলা ভাগ করতে দেওয়া হবে না। সেই সুরে এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “সংবাদের শিরোনামে থাকার জন্য এর আগেও অনন্ত মহারাজ এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। বিরোধী দলগুলির উস্কানিও আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পাহাড় থেকে সাগর উন্নয়নের সূত্রে বাঁধা হবে। বাংলাকে আমরা ভাগ হতে দেবো না।”