সোমবার রাতে এমনই এক দৃশ্য দেখল গোসাবা এলাকা। রাতের অন্ধকারে বন্দুক নিয়ে এলাকায় ঘোরাঘুরি করার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা থানার শম্ভু নগর এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এই চারজনের গতিবিধির খবর গোপন সূত্রে পায় পুলিশ।
ওই এলাকায় চার যুবক হোসেন মোল্লা, শামসুল সরদার, রহিদুল মোল্লা ও সঞ্জয় দাস দুটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বেলতলী বাজার থেকে শম্ভু নগরের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে গোপন খবর পেয়ে তাদের গাড়ি আটকায় পুলিশ। উদ্ধার হয় দুটি মোটরসাইকেল, দুটি বড় বন্দুক, ৭ রাউন্ড গুলি। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও বেশ কিছু অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ।
শুধু তাই নয়, তাদের থেকে নগদ ৫০,০০০ টাকাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শম্ভু নগর এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকায় ঢুকছিল, এমনই অভিযোগ পুলিশের। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। শুধু তাই নয় তাদের বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই চারজনকে জেরা করে কে এদের চালনা করছে, সেই গভীরে ঢুকতে চায় পুলিশ।
এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আমাদের পাড়া থেকেই মধ্যরাত নাগাদ পুলিশ এই চারজনকে গ্রেফতার করে। হঠাৎ পাড়াতে রটে যায় যে পুলিশ এসেছে। আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি চারজনকে ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তারপরেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বেরিয়ে আসে।” যদিও এই এলাকায় রাজনৈতিক হানাহানির ইতিহাস খুব একটা নেই বলেই জানিয়েছেন ওই স্থানীয় বাসিন্দা।
এদিকে,ভোটের আগে আগে এই ধরনের অস্ত্র উদ্ধার বেড়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশের। কিছুদিন আগেই বারুইপুরের একটি এলাকা থেকে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র সমেত ৫ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের থেকে একটি অত্যাধুনিক রিভলভারও পাওয়া যায়।