পুলিশের প্রাথমিক অনুমান এই BJP নেতার পূর্ণ সহযোগিতায় কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন মুকুল। তালিকায় রয়েছে আরও দুই জনের নাম। প্রথমজন রাজু মণ্ডল। তিনি মুকুল রায়ের গাড়ির চালক ছিলেন এবং অপরজন ভগিরথ মাহাত। তিনি এই নেতার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিন থেকে চার জনকে শনাক্তকরণ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।পীযূষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই প্রসঙ্গে নয়া তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশের একটি দল দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই দলের প্রতিনিধিরা মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলবেন।
এদিকে পীযূষ দলের কোনও পদাধিকারি নন, দাবি করেছেন রাজ্য BJP সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উল্লেখ্য, সোমবার বিকেলেমুকুল রায়দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন এবং প্রায় দুই বছর পর তিনি দিল্লিতে পা রাখেন। কেন হঠাৎ এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা দিল্লিতে উঠে গেলেন? তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
শোনা যাচ্ছে, তিনি BJP-তে যোগ দিতে পারেন। যদিও এই প্রসঙ্গে মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু জানিয়েছেন, তাঁর বাবার মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক নেই। তিনটি হাসপাতালের রিপোর্ট এক কথা বলছে। মুকুল রায়ের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে রাজনীতি করছেন বিরোধীরা, এমনটাই দাবি তাঁর।
মুকুল-পুত্রেরকথায়, “বাবার কাছে টাকাও ছিল না। এক অবাঙালিকে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা বাবাকে দেওয়া হয়। একজন অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে তাঁকে বিরোধীরা যোগদান করানোর চেষ্টা করতে পারে। আমি গোটা ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।”
উল্লেখ্য, দিল্লি পৌঁছনোর পরমুকুল রায়কে তাঁর আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি এমনই দিল্লিতে এসেছি। আমি দিল্লি আসতে পারি না?এক আগেও তো এসেছি। এই বার একটু দেরি হল।”
তাঁর সংযোজন ছিল, “আমি এমনই এসেছি। কোনও বিশেষ কারণে নয়।” চিকিৎসার জন্য যে তিনি দিল্লিতে যাননি তাও স্পষ্ট করেছেন এই নেতা। এই মুহূর্তে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও মুকুল রায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ‘লস্ট কেস’ বলে মন্তব্য করেন এবং তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। সেক্ষেত্রে এই নেতার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে।