‘তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ সিঙ্গুরের সভা থেকে এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাঁর মন্তব্যকে অস্বীকার করে পালটা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, প্রমাণ করে দেখাতে পারলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের কিছুক্ষণ পরেই ফের চাঞ্চল্যকর দাবি তুলে ট্যুইট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।বিরোধীতার ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে এবার ট্যুইটেই চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর। তিনি বলেন, ”ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা! আপনি আমার জন্য কিম্ভূত, কিমাকার শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটা লজ্জাজনক। এর আগে আপনি এরকমই অবমাননাকর শব্দ প্রধানমন্ত্রীকেও আপনি বলেছিলেন। দিল্লিতে ফোন করার জন্য আপনি একটি ল্যান্ডলাইন ব্যবহার করেছেন। অপেক্ষা করুন সঠিক সময়ে সব ফাঁস করব। আগামীকাল আমার উপযুক্ত উত্তরের জন্য অপেক্ষা করুন।” Mamata Banerjee Suvendu Adhikari: জাতীয় তকমা ফিরে পেতে শাহকে চারবার ফোন মমতার! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর
এখানেই শেষ নয়, আরও একটি টুইটে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ”আপনি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদা, মেদিনীপুরের কথা বারবার বলতে থাকেন কেন জানেন,কারণ অবচেতনে আপনি ঠিকই জানেন ২০১১ সালে আপনি ক্ষমতায় এসেছিলেন কারণ আমি তখন ওই জেলাগুলোর দায়িত্বে ছিলাম। আপনার মূল্যহীন ভাইপো তখন কোথাও ছিল না। ২০১১ সালে জুলাইয়ের পরে তাঁর প্রবেশ।”
নবান্নের সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এদিন তিনি নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে আক্রমণ শানান। তাঁকে কিম্ভূত, কিমাকার, ভুঁইফোড় বলে আক্রমণ শানান এবং বলেন, ”যে বা যারা এই মিথ্যে বলেছেন তাদের নাকখত দিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, দলের তরফে শুভেন্দুকে মন্তব্য প্রত্যাহারের কথা জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খবর। চিঠিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই বক্তব্য প্রত্যাহার না করা হলে আইনি পদক্ষেপ নেবে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের লেটারহেড প্যাডে শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাসস্থানে চিঠিটি পাঠিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।