অয়ন ঘোষাল: কে এম ডি এ সেতু বিশেষজ্ঞ কমিটি আগেই জানিয়েছিল, চিংড়িহাটা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য ভালো নয়। এবার সেই উড়ালপুলের ডাউন অ্যাপ্রোচে সুকান্তনগরের কাছে ছোট বড় নয়টি গর্ত। এই ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ।
উড়ালপুলের ডাউন অ্যাপ্রোচে নয়টি গর্ত। সেগুলি একই সিরিয়াল লাইন ধরে। আর গর্তের লাইন বরাবর বসে গেছে রাস্তা। সেই রাস্তার ওপর দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে দ্রুতগতিতে চলছে গাড়ি। পুলিসের যুক্তি, এটি ডাউনের রাস্তা। এখানে গার্ড রেল বসালে আরও বেড়ে যাবে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। কারণ শেষ মুহুর্তে দ্রুতগতির গাড়ির চালক গার্ড রেল বুঝতেই পারবেন না। অতএব সেতুতে যান চালকদের সতর্ক করতে, এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করতে মোতায়েন করা হল পুলিস।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘এত দুর্নীতি করলে মানুষ তো বটেই, ভগবানও সঙ্গে থাকে না’, তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ দিলীপ ঘোষের
কেন ফাটল?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বিধাননগর ট্রাফিক গার্ডের এক আধিকারিক বলছেন, নিউ গড়িয়া থেকে দমদম বিমানবন্দর মেট্রো অরেঞ্জ লাইনের নির্মীয়মাণ চিংড়িঘাটা এলিভেটেড স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম শুরুর আগে এই ৭৯ নম্বর পিলারে ৭২ ঘণ্টা আগে ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এরপর পিলারের গা থেকে গত ৪৮ ঘণ্টায় ধাপে ধাপে খুলে ফেলা হয়েছে লোহার চাদর এবং বাঁশের কাঠামো। বিধাননগর বেলে মাটির জায়গা। পাশেই খাল। মাটির নিচে জল থেকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
আরও পড়ুন: Bengal Weather Today: বৃহস্পতিবারও তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা, রবিবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে কলকাতায়
তাই হয়তো এই পিলারের ঠিক পাশেই এভাবে গর্ত হয়ে রাস্তা বসে যাচ্ছে। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ কি, তা বিশদে অনুসন্ধানের পর KMDA এবং মেট্রোর কাজের বরাত পাওয়া ঠিকা সংস্থার অভিজ্ঞ বাস্তুকাররা বলতে পারবেন।