ওই বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে তাপস বলেন, “এখন শুনছি ১০০ নয় এটা ৫০০ কোটি টাকার খেলা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে কুন্তল ঘোষ যত টাকা তুলেছেন সব টাকা হাওয়ালাতে খাটানো হচ্ছে। কুন্তল ঘোষ জেলে অত্যাচার হওয়ার নাটক করছে। জেলে বসে এই টাকা হাওয়ালাতে খাটানো হচ্ছে। আমি চাই এটা তদন্ত করে দেখা হোক।”
তাপস মণ্ডলের এই দাবি সামনে আসার পর নতুন করে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও তাপসের গোটা দাবি অস্বীকার করেন কুন্তল। সাংবাদিকদের এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পাগলের কথার কোনও উত্তর দেব না। বিজেপির আর কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখপাত্র এক।”
কয়েকদিন আগেই আদালতে ঢোকার মুখে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সাংবাদিকদের তিনি বলে যে তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য জোর করা হচ্ছে। আদালতকে একটি বিস্ফোরক চিঠিও দেন কুন্তল। নিজের হাতে লেখা সেই চিঠিতে তিনি দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য ইডি আধিকারিকরা তাঁকে চাপ দিচ্ছেন এবং নাম বলে তাঁর মুক্তির বন্দোবস্ত করা হবে বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন কুন্তল।
আদালতকে লেখা চিঠিতে কুন্তল ঘোষ আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেন। কুন্তলের দাবি, ইডি আধিকারিকরা যখন তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তখন এক অফিসারকে ফোন করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জিজ্ঞাসবাদের মুখে কুন্তল অভিষেকের নাম বলেছেন কিনা ইডি আধিকারিকের থেকে সেকথা জানতে চাওয়া হয়েছিল বলেও চিঠিতে দাবি করা হয়।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে, তাপস মণ্ডলের মুখেই প্রথম গোপাল দলপতি ও কুন্তল ঘোষদের নাম শোনা গিয়েছিল।দুর্নীতির তদন্তে ধৃত পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাপস। মানিককে জেরা করে তদন্তকারীরা তাপসের নাম জানতে পারেন। একাধিকবার জেরার পর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাপসকে শেষমেশ গ্রেফতার করে সিবিআই।