শুক্রবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের কথা জানান রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহঃ সানা আখতার। প্রসঙ্গত এদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালইবাড়ির বাসিন্দা কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযোগ মেয়েটিকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।
দিনভর টান টান উত্তেজনা চলার পর এদিন রাতে রায়গঞ্জে অবস্থিত পুলিশ সুপারের দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ সুপার মহঃ সানা আখতার। তিনি বলেন, “মেয়েটি বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। শনিবার সকালে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।”
অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এছাড়াও কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে স্পেশাল মেডিক্যাল বোর্ড। পুলিশ সুপার জানান, দেহের পাশ থেকে বিষ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
শুক্রবার সকালে কালিয়াগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর দেহ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেন এলাকাবাসীরা। অভিযুক্ত গ্রেফতার করার দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ লাগে জনতার।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায়। নামানো হয় RAF। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি করা হয় উন্মত্ত জনতার তরফে। এরপর পুলিশের তরফে লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ। গোটা এলাকা জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক বিতর্কও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে বলেন, “বাংলায় আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হল।” পালটা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ঘটনাটি নিঃসন্দেহে মর্মান্তিক। দোষীরা কোনওমতেই ছাড়া পাবে না। তবে বিরোধী দলনেতা যেভাবে এটিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে আঙুল তুলছেন সেটাও কাম্য নয়।”
তবে ঘটনার আসল কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার ঘটনা নিয়ে নির্দিষ্ট তথ্য তুলে ধরা হবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।