বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠনের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ছবি-সহ বিষয়টি জনসমক্ষে এনেছে। সংগঠনটির অভিযোগ, বাসটিকে বেলেঘাটায় দেখা গিয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সন্দীপ সেনগুপ্ত প্রথম এটি নজর করেন। তিনি ছবি তুলে প্রকাশ্যে আনেন।
ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘বাসটি সল্টলেক এআরটিও’র রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। বেলেঘাটায় সামনে দেখা গিয়েছে। ছবিও তুলে আমরা বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছি। মেয়াদ উত্তীর্ণ সরকারি-বেসরকারি কোনও বাসই পথে নামতে পারে না। পরিবেশ আদালতের এই পালন করতে আমরা দায়বদ্ধ।
কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ সরকারি বাস পথে দেখেই বিষয়টি জনসমক্ষে তুলে ধরেছি। এই নিয়ম ভাঙলে বেসরকারি বাণিজ্যিক পরিবহণকে জরিমানার মুখে পড়তে হয়। সরকারি বাসের ক্ষেত্রে কি সেই জরিমানা প্রযোজ্য হবে?’
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের কর্তারা এই নিয়ে মুখ মুলতে নারাজ। তবে বাসটি রুটে না চালিয়ে নিগম সরকারি কাজে ব্যবহার করছে কি না, তাও দেখা দরকার। যদিও আদালতের নির্দেশ মাফিক তা করা যায় না। নিগমের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌমেন মাইতি জানান, কোনও বাসের বয়স ১৪ বছর হলেই তা স্ক্র্যাপ করার নিয়ম চালু রয়েছে।
অনেক সময়ে কোনও বাস ৪ লক্ষ কিলোমিটার চালানোর পর তার চালানোর অনুপযুক্ত মনে হলেও স্ক্র্যাপ করার রীতি রয়েছে। চলার উপযুক্ত থাকলে অবশ্য বয়সটা প্রাধান্য পায়। প্রতি বছরই গড়ে চল্লিশটা বাস স্ক্র্যাপ করা হয়। তবে যে গাড়ির বয়স ১৪ পেরিয়ে গিয়েছে তাকে, কোনও ভাবেই পথে চলতে দেওয়া হয় না। এছাড়া সরকারি বাসের ডিপোতেই ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
এজন্য প্রতি ডিপোতে একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার থাকেন। দূষণের সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থাও সরকারি ডিপোতে রয়েছে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া আরটিওতে সরকারি বাসের আর কোনও ভূমিকা থাকে না। সৌমেনের কথায়, ‘এক্ষেত্রে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার সত্যতা যাচাই না করে বলতে পারব না। তবে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’