দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাঁদেরই নিজেদের বেতন থেকে এই জরিমানার অর্থ দিতে হবে। মাদক মামলায় কোনও অভিযুক্তকে ফাঁসানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে নতুন নয়। তবে এই ধরনের একটি মামলায় হাইকোর্টের এদিনের নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। গত বছর ৯ মার্চ বিশাল শুক্লা নামে এক ব্যক্তিকে তাঁর দোকান থেকে তুলে নিয়ে যায় টিটাগড় থানার পুলিশ।
তিনি এলাকায় কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচিত। গত পুরসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রাকেশ শুক্লার নির্বাচনী এজেন্টও ছিলেন বিশাল। দোকান থেকে বিশালকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরদিন পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, তিনি মাদক মামলায় অভিযুক্ত। বেশ কিছুদিন পুলিশ ও জেল হেফাজতে থাকার পর তিনি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ আগেই তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে। মামলাকারীর তরফে পুলিশের এফআইআর খারিজ করারও আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনের শুনানির জন্য নির্দিষ্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়। এদিন বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে সেই মামলার শুনানি চলাকালীন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত।
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী প্রতীক ধর ও কৌস্তভ বাগচি যুক্তি দেন, পুলিশ যে কীভাবে কাউকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে পারে, এই ঘটনাই তার নিদর্শন। তাঁদের যুক্তির পক্ষে বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ আদালতে তুলে ধরেন তাঁরা। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার তদন্ত করে নিশ্চিত করবেন, এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর দায় কোন পুলিশকর্মীদের। তাঁদের চিহ্নিত করে বেতন থেকে এই দু’লক্ষ টাকা জরিমানার অর্থ মেটাতে হবে। আদালতের রায় নিয়ে অবশ্য ব্যারাকপুরের পুলিশকর্তারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।