ওই নাবালিকার মৃতদেহ যেভাবে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছে, তা একেবারেই অনভিপ্রেত। যার জেরে জনগণ আক্রোশে পুলিশকে আক্রমণ করেছে। ওরা কথায় কথায় ভিন রাজ্য দেখায়, কিন্তু নিজের রাজ্যে কি হচ্ছে দেখতে পায় না”। এদিন রায়দিঘি বিধানসভার শঙ্করপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদার পাড়াতে ISF-এর জনসভায় তৃণমূলকে এক হাত নেন নওশাদ সিদ্দিকি।
তিনি বলেন, “রাজ্যে যেখানে যেখানে সুস্থ ও অবাধ নির্বাচন হবে, সেখানেই বিরোধীরা ব্যাপকভাবে জয় লাভ করবেন”। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এদিন ISF-এর এই সভায় জনপ্লাবন দেখা গেল। সভা থেকে তৃণমূলের উচ্ছেদের ডাক দিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। একইসঙ্গে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা,প্রাপ্য DA, চাকরি চুরি, অনুব্রত মণ্ডল ও তার মেয়ের CBI-এর হাতে গ্রেফতারের ঘটনাও তুলে ধরেন নওশাদ সিদ্দিকি।
পাশাপাশি এজেন্সির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ থেকে আরম্ভ করে কোচবিহার জলপাইগুড়ির পর উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের নব জোয়ারের বিশৃঙ্খলা, অভিষেকের সভায় ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর না যাওয়া, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ, তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার প্রাক্তন আপ্ত সহায়ককে CBI সমন সহ কালিয়াগঞ্জ এর ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন।
নওশাদ বলেন, “কল্যানবাবু রাজীবকে আক্রমণ করছেন, গদ্দার বলছেন। কিন্তু এটাও দেখুন যে এই গদ্দারকেই মাননীয়া ত্রিপুরাতে ভোটের দায়িত্বে পাঠিয়েছিলেন”। তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীকে নিয়ে তিনি বলেন, “যতদূর জানি উনি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি। ছাপ্পা ভোট করিয়ে জেতেননি। উনি ওনার মেরুদণ্ড শক্ত রেখেছেন।
সেই জন্য ওনাকে অভিনন্দন জানাই। ওনার এলাকার বিভিন্ন সমস্যা, খুব যখন হানাহানি নিয়ে তিনি মুখ খুলেচ্ছেন, নিজের দলকে জানিয়েওছেন। কিন্তু মাননীয়া কোনও পদক্ষেপ নেননি, কারণ পদক্ষেপ করলে তো দলেরই লোকজন, দলের সম্পদ সব জেলে যাবে”। নওশাদ এদিন নিজের বক্তব্য জানিয়ে মতুয়া আন্দোলন, রাজবংশী ও আদিবাসীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন।