প্রদ্যুৎ দাস: সন্ধ্যা নামলেই ভেসে আসে তার কান্নার আওয়াজ! কখনও নিমগাছে, তো কখনও কামরাঙা গাছে নাকি দেখাও যায়! কাকে? শাঁকচুন্নিকে! আতঙ্কে কাঁটা গোটা গ্রাম। সূর্যাস্তের পর ভয়ে বাড়ি বাইরে বেরোন না কেউ। জলপাইগুড়ির ঘটনা।
জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির দক্ষিণ খাগড়াবাড়ি গ্রাম। সকালে কিছু টের পাওয়া যায়নি। আর পাঁচটা গ্রামের মতো খাগড়াবাড়ি এলাকার যে যার কাজে ব্যস্ত থাকেন। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায়। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই সুনশান হয়ে যায় রাস্তা। দরজা-জানলা বন্ধ করে ঘরে বসেন থাকেন সকলেই। এমনকী, বাচ্চাদেরও আটকে রাখেন পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন: Canning: সারাদিন ফোনে ব্যস্ত স্ত্রী, প্রতিবাদ করায় জুটল বেধড়ক মার! ভয়ংকর পরিণতি স্বামীর…
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বছর দেড়েক আগে অস্বাভাবিক মৃত্য হয় গ্রামেরই এক বধূর। ঘরে ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু তখন কোনও সমস্যা হয়নি। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল। তাহলে? সপ্তাহ খানেক আগে যে ঘরে ওই বধূর দেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেই ঘরের লাগোয়া রাস্তা আলো লাগানো হয়েছে। তারপর থেকেই নাকি গ্রামের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছে শাকচুন্নি!
কখনও হুট করে সরে যাচ্ছে তার ছায়া। কখনও গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে বসে কেউ কাঁদছে। শুধু তাই নয়. ঘর থেকে এক গ্রামবাসীর উদ্দেশে মুচকি হাসিও ছুড়ে দিয়েছে সে। গ্রামবাসীদের ভয় কাটাতে তৎপর পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত সদস্য় প্রতিমা দাস বলেন, ‘ভূত বলে কিছু হয় না। এটা ওদের মনের ভুল। ভুল ভাঙাতে আমি ওই এলাকায় যাব। মানুষজনকে সচেতন করব’।
আরও পড়ুন: Murshidabad: অমানবিক মা! ব্রিজের উপর থেকে সন্তানকে ছুঁড়ে ফেললেন গঙ্গায়, তারপর…
জলপাইগুড়ি সাইন্স এন্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক রাজা রাউত, ‘এগুলো মানুষের ভ্রান্ত ধারণা। ভূত বলে কিছুই নেই। আজও হাইটেক এর যুগে মানুষের মধ্যে কুসংস্কার। এটা সত্যি আশ্চর্যের’।