প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল দণ্ডিকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। সেই দণ্ডিকাণ্ডের প্রায় এক মাস পর পুলিশের খাতায় নাম জুড়ল মূল অভিযুক্ত প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর। দণ্ডিকাণ্ডে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে এবার ডেকে পাঠালেন তদন্তকারী অফিসার৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠালেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এর আগে তদন্তের স্বার্থে দণ্ডির শিকার হওয়া আদিবাসী মহিলাদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। এরপর দণ্ডিকাণ্ডে প্রথমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেই ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতেই প্রদীপ্তাকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তপনে গিয়ে ওই তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। নির্যাতিতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলগত ও প্রশাসনিকভাবে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপরেই ওই রাতেই পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের পদ যায় প্রদীপ্তার। ঘটনার এক দিন পরেই আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশের তদন্তকারী অফিসার তথা জেলা পুলিশের ডিএসপি ডিএন্ডটি।
যদিও বা এবিষয়ে জেলা পুলিস সুপার মুখ খুলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, আইন অনুযায়ীই তদন্ত চলছে। যদিও এনিয়ে সরব হয়েছে জেলা বিজেপি৷ বিজেপি সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারের বক্তব্য, শুধুমাত্র আইনি নোটিশ পাঠানো নয়, অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে অভিযুক্তকে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে এসসি এসটি আইন লাগু করতে হবে। তৃণমূল নেতার নির্দেশ ছাড়া পুলিশ কোনও কাজ করে সেটা আবারও প্রমাণিত হল বলে দাবি বিজেপির।
যদিও এনিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “এটাই তৃণমূল কংগ্রেস৷ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাঁকে ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন পুলিশ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। পুলিশ ভাল ভাবে কাজ করছে।” দলকে সাধুবাদ জানাবো। আগামী দিনও দলের ঊর্ধ্বে গেলে পরে তার বিরুদ্ধে এমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।