Jhargram Police : কোচিং দিচ্ছেন পুলিশকর্মীরা, লক্ষ্যভেদে সাফল্য ঝাড়গ্রামে – jhargram district police has arranged free coaching for the preparation of the youth for government jobs


অরূপকুমার পাল
এই সময়, ঝাড়গ্রাম: পুলিশের ভারী বুটের আওয়াজ এখন অতীত। জঙ্গলমহলে কর্মসংস্থানে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য বিনামূল্যে কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে। যার পোশাকি নাম ‘লক্ষ্যভেদ’। সত্যি সত্যিই লক্ষ্যভেদ হলো সেই উদ্যোগে। জেলায় কনস্টেবল পরীক্ষায় পাশ করা ৫৮ জন পরীক্ষার্থী মক-ইন্টারভিউর জন্য পুলিশ লাইনে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৪৭ জন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে সিলেক্টেড হয়েছেন।

Jhargram News : প্রবীণদের স্বাক্ষরতার আলোয় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ, পাঠদান কর্মসূচির আয়োজন ঝাড়গ্রাম পুলিশের
জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা ২০১৯ সালে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি বদলি হওয়ায় মাঝে কয়েক বছর এই কর্মসূচির গতি ঝিমিয়ে পড়ে। অরিজিৎ সিনহা ফের ঝাড়গ্রাম জেলায় পুলিশ সুপার হওয়ার পর ২০২২ সালে জেলার সমস্ত থানায় নতুন করে ‘লক্ষ্যভেদ’ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এসডিপিও, ডিএসপি বা ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ অফিসাররা ‘লক্ষ্যভেদ’-এর ক্লাস নেন। শুধু ক্লাস নয়, মক ইন্টারভিউ শুরু করে পার্সোনাল টেস্টও নেওয়া হয়। এই মুহূর্তে জেলা জুড়ে প্রায় ৩০০ জন যুবক-যুবতী ‘লক্ষ্যভেদ’-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

West Bengal Police : এবার শিক্ষকের ভূমিকায় পুলিশ! আধিকারিকদের কোচিং পেয়ে সাফল্য ৮৮ পরীক্ষার্থীর
পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন,’লক্ষ্যভেদের মাধ্যমে ২ জন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছিলেন। তারপর মক-ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। তাতে ৪৭ জন সিলেক্টেড হন।’ অর্থাৎ মোট ৪৯ জন রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে সিলেক্টেড হয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে।

Purba Midnapore Police Station : পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন ৬ থানা, কোন কোন এলাকা পাচ্ছে নয়া পুলিশ স্টেশন?
হাত বাড়ালেই পুলিশের ‘সাথী’, ‘সহায়’ ‘সুস্বাস্থ্য’, ‘শপথ’ থেকে শুরু করে স্বনির্ভর করার জন্য ‘সৃজন’-এর পাশাপাশি, রক্তের সঙ্কট মেটাতে ‘দান’-এর মতো নানা প্রকল্প চলছে জেলা জুড়ে। শুধু তাই নয়, প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের বিনামূল্যে ‘দিশা’ কোচিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে ৭৯টি কেন্দ্রের মাধ্যমে। পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়ি থানা এলাকায় চালু করা হয় ‘উজ্জীবন’ কর্মসূচি। নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষর করে তোলার জন্য চল্লিশ থেকে ষাট বছর বয়সী ১০০ জন গ্রামবাসীকে প্রথম পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

Jhargram News : ডাইনি অপবাদে ঠাকুমার মুণ্ডুচ্ছেদ! ৬বছর পরে নাতিকে ফাঁসির সাজা শোনাল ঝাড়গ্রাম আদালত
বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়ি বিডিও অফিসের কনফারেন্স হলে ‘উজ্জীবন’-এর উদ্বোধন করেন অরিজিৎ সিনহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপারেশন) উত্তম ঘোষ, বেলপাহাড়ির বিডিও বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বেলপাহাড়ির থানার আইসি বিশ্বজিৎ বিশ্বাস প্রমুখ। প্রতি সপ্তাহের শনি এবং রবিবার বিকাল চারটা থেকে ছ’টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা করে ক্লাস নেওয়া হবে। ক্লাসের দায়িত্বে রয়েছেন ১২ জন পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার। বেলপাহাড়ি থানার মোট ৬টি জায়গায় ‘উজ্জীবন’-এর ক্লাস নেওয়া হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীদের হাতে পড়াশোনার সামগ্রী হিসেবে একটি খাতা ও পেন প্রদান করা হয়।

পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ‘এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল ৪০-৬০ বছর বয়সী আগ্রহী গ্রামবাসীদের প্রাথমিক পঠন এবং লেখার দক্ষতা প্রদান করা। যাঁর ফলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে কাঙ্খিত সুবিধা অর্জন করতে পারেন। তাঁরা সাক্ষর হয়ে স্বাক্ষরের জন্য স্বনির্ভর হয়ে উঠবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *